আজ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস
জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে রোববার (২০ জুন)। সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার শিরোনামে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত এই বাজেট। আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে নতুন এ বাজেট।
শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার বক্তব্যে এবারের বাজেটে কিছু নীতি সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরেন। পরে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল।
এদিকে তেমন কোনো পরিবর্তন ছাড়াই পাস হচ্ছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে এটি। গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই যা আজ পাস হতে যাচ্ছে। যদিও অর্থমন্ত্রী কয়েকবার বলেছেন বাজেটের কোনো জায়গায় আপত্তি থাকলে তা তাকে জানাতে। তবে যেসব বিষয়ে বিভিন্ন মহল আপত্তি জানিয়েছিল সেগুলোতে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী নয় সরকার।
এবারের বাজেটে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলো ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি। তবে সংসদ ও সংসদের বাইরে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পরও এ প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন আনছেন না অর্থমন্ত্রী। এ ছাড়া বাজেট প্রস্তাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ওপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বসানোর প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ যেসব বিনিয়োগকারীরা ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি আয় করবে তাদের লাভের ওপর কর দিতে হবে। এমন প্রস্তাব নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের আপত্তি থাকলেও তা পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। অর্থাৎ চূড়ান্ত বাজেটেও ৫০ লাখ টাকা পুঁজিবাজার থেকে লাভের ওপর কর ধার্য হচ্ছে।
নতুন অর্থ বিলে আয়কর ও কাস্টমস সংক্রান্ত সামান্য কিছু পরিবর্তন আসবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের চাপে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কগুলোর কর অবকাশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কও আগের মতো শূন্য শতাংশ রাখা হচ্ছে।
বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের দিনে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী তবে শেষ পর্যন্ত এ প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন নাও হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সব নাগরিককে করের আওতায় আনার অর্থমন্ত্রীর চেষ্টা থাকলেও সংসদ সদস্যদের চাপে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি কি হয় তা অবশ্য আজই জানা যাবে।