আদালত চত্বরে হিরো আলমকে মারধর, কান ধরে উঠবস
বগুড়ায় আদালত চত্বরে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়।
হিরো আলমের দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করেছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে তার দায়ের করা মামলার বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় ৫/৭ জন যুবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাকে আদালত চত্বরের বাইরে সড়কে নিয়ে গিয়ে কান ধরে উঠবস করায়।
হিরো আলম বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যাচেষ্টা করা হলো। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের নামে মামলা করাতে বাধ্য করেছেন। এটা আমি আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো। যারা এই হামলা করেছে তাদের সবার ফুটেজ আছে, শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো।
দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে আমার ওপরে হামলা হয়েছিল। ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগে ৩৯ জনের নামে আদালতে মামলা করেছি।