আনোয়ারায় ‘মর্যাদার লড়াইয়ে’ জিতলেন ওয়াসিকা
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হক।
বুধবার দিবাগত রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হক ৫৮ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গত দুইবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮০৭ ভোট।
এবারের নির্বাচনকে এই উপজেলার ভোটাররা ‘মর্যাদার লড়াই’ হিসেবে দেখেছেন। একদিকে ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। আরেক দিকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
শেষপর্যন্ত মর্যাদার লড়াইয়ে জিতেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম এ মান্নান মান্না ৩১ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চুমকি চৌধুরী ৪৫ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আনোয়ারায় মোট ৭৪টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটার তাদের ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।
প্রসঙ্গত, গত ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁকে সমর্থন দেন।
একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা।
তবে এর দুই মাস আগে থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করে মাঠে-ময়দানে জনসংযোগ করে আসছিলেন উপজেলা পরিষদের দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী।
এরমধ্যে গত ২১ মে এম এ মান্নান চৌধুরীকে বাদ দিয়ে তৌহিদুল হক চৌধুরীকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সমর্থন দিয়েছেন।
‘মর্যাদার লড়াইয়ে’ সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী পাল্টালোর ঘটনার পর আনোয়ারার রাজনৈতিক অঙ্গনের সবার চোখ ছিল এই উপজেলার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হক ও তৌহিদুল হক চৌধুরীর দিকে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ফলে লড়াইটা হয়েছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগেরই।