আনোয়ারায় মৎস্য ফাঁড়ের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪
আনোয়ারায় খালে মাছ ধরার ফাঁড়ের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন। গত রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন গ্রামের মাঝর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
আহতরা হলেন মো. সেলিম (৪০), আবুল কাশেম (৪৭), আশরাফ আলী (৫০), মফিজ (৪৫)। আহতদের মধ্যে আশরাফ আলী (৫০) ঢাকা পঙ্গু পাসপাতালে এবং অন্যরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারার কোদালা খালের মুখ থেকে ইছামতী খালের মুখ পর্যন্ত তিনটি মাছের ফাঁড় রয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে ফাঁড়গুলো বিভিন্ন ব্যক্তির নামে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আর এসব ফাঁড়ের দখল নিয়ে গত রোববার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেনের দাবি গত ৪০ বছর ধরে উপজেলা থেকে নিবন্ধন নিয়ে এসব ফাঁড় তারা ভোগ করে আসছেন। বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় আমাদের প্রতিপক্ষের কয়েকজন ব্যক্তি ফাঁড়গুলো দখলে নিতে নানাভাবে আমাদের চাপ দিতে থাকে। তারই জের ধরে রবিবার রাতে প্রতিপক্ষ অস্ত্র আর রামদা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার দুই ভাই গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন সুজন জানান, ফাঁড়গুলো জনগণের। কিন্তু ইজারা ছাড়া জোর করে গত ৩ বছর ধরে হোসেন মেম্বাররা এসব মাছের ফাঁড় দখল করে আছে। তাই স্থানীয়রা মাছের ফাঁড় ছেড়ে দিতে বললে সেখানে তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় বর্তমানে কৈখাইন গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশেদুল হক জানায়, মারামারির বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খালটির ফাঁড়গুলো স্থানীয় মৎস্য্যজীবীদের নামে নিবন্ধন রয়েছে।
আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৎস্য ফাঁড়ের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে একটি মামলা রেকর্ড হয়।