আমদানির খবরেও খাতুনগঞ্জে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। এখনও এই বাজারে পণ্যের দামের ওপর নির্ভর করে দেশের বড় একটা অংশের বাজারদর। সাধারণত আমদানির খবরেই এই বাজারে পেঁয়াজসহ যে কোনো পণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু এবার ঘটলো ঠিক উল্টো ঘটনা। আমদানির খবরে কয়েক দফায় কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়ে গেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এরমধ্যে খাতুনগঞ্জে আনুষ্ঠানিক আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারতীয় পেঁয়াজ আসা অব্যাহত ছিল চোরাই পথে। আমদানির ঘোষণার পর উধাও বাজারে মজুত থাকা সেসব ভারতীয় পেঁয়াজও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। সঙ্গে আরোপ করা হয়েছে ৪০ শতাংশ রপ্তানি কর। এতে আমাদানি করা পেঁয়াজে প্রতি কেজিতে খরচই পড়বে ৯০ টাকার বেশি। আর দেশের বাজারে সেসব পেঁয়াজ বিক্রি হতে পারে ১শ টাকারও বেশি দামে।
গতকাল সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন করে ৬৫-৬৮ টাকা কেজি দামে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। গেল শনিবারও এসব পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকা দামে বিক্রি হয়েছিল ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ এই পাইকারি বাজারে। এই চারদিনে কয়েক দফায় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলেও এবার দামের পাশাপাশি ডিউটিও (শুল্ক) বাড়িয়েছে। প্রতি গাড়িতে নয় লাখ টাকা অতিরিক্ত ডিউটি দিতে হবে। তাই দামও বাড়বে। তাছাড়া এখন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও কম, তাই দাম বাড়ছে বাজারে।
আমদানি বন্ধ থাকলেও চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকাশ্যে বিক্রি হয় খাতুনগঞ্জে। কিন্তু বুধবার এই বাজারের কোনো দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সাম্প্রতিক অভিযানের কারণে চোরাই পথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কথা বললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন মূলত সামনে আমদানির পর বাড়তি দামে বিক্রির জন্যই এখনকার পেঁয়াজ গোপনে গুদামজাত করেছেন অনেকে। বাজার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ উধাওয়ের বিষয়ে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. সাকিব বলেন, এখন অভিযানের কারণে চোরাই পথে শুধু পেঁয়াজ না, চিনিসহ কোনো পণ্যই আসে না। তাই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজও এদিকে কম আসছে এখন। তাই ওটার দামও বাড়ছে।