দেশজুড়ে

ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করার হুমকি ইউএনও’র

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ৪ নং চান্দের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার বিরুদ্ধে।

চান্দের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বরাদ্দ গরিবদের জন্য ঈদ উপহার ১০ (দশ) কেজি করে চাল ইউনিয়ন পরিষদে ১৬ জুন সকাল ১০ টায় ইউ.পি সচিব মনির হোসেন ও পিআইও অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতে বিতরণ শুরু হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক অসুস্থতার কারণে বিতরণ কার্যক্রমে অনুপস্থিত ছিলেন। এসময় সকাল সোয়া ১০ টায় ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ রানা এবং সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহনাজ পারভীন চাল বিতরণে বাধা দিয়ে বলেন ‘পিআইও ও ইউএনও সাহেব তাদেরকে বলছে লিষ্ট ছাড়া তাদের কথামতো চাল বিতরণ করতে হবে।’ কিন্তু, ইউপি সদস্যদের নিজস্ব লিস্ট মোতাবেক তাদের ওয়ার্ডের চাল এর আগে গত ১৩ জুন তারিখে তাদের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়েছে। তখন, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইউএনও ও পিআইওকে মুঠোফোনে কল দিলে তারা ফোন ধরেননি। পরে ইউপি চেয়ারম্যান হোমনা থানার ওসিকে পুলিশ ফোর্স পাঠানোর জন্য ফোন দিলে তিনি ফোর্স পাঠাবেন বলে পাঠাননি। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান ইউএনওকে পুনরায় ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করলে তাকে বিস্তারিত জানান। তখন ইউএনও মুঠোফোনে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন, ‘মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করে চাল দিয়া দেন বা ফালাইয়া দেন বা যা খুশি তা করেন।’ পরে, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মুঠোফোনেই ইউএনওকে বলেন, ‘গত ১১ জুন তারিখে লিস্ট মোতাবেক কার্ড বণ্টন হয়ে গেছে। এখন কীভাবে আমি মেম্বরদের সাথে সমন্বয় করে চাল দিবো।’ এসময় ইউএনও চেয়ারম্যানকে ‘বেয়াদব’ বলে গালি দেন ও সামনে থাকলে ‘গুলি’ করতেন বলে হুমকি দেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, একজন প্রশাসনের লোক কোনো সাধারণ মানুষের সাথেও তো এভাবে কথা বলতে পারে না, সেখানে একজন জনপ্রতিনিধির সাথে কিভাবে এমন আচরণ করেন। এই অধিকার উনাকে সরকার দেয় নাই। আমি প্রশাসনের কাছে উনার শাস্তি দাবি করছি।

অভিযোগের বিষয়ে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ধরণের কোনো কথা উনাকে বলা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে চাল বিতরণ করতে দিয়েছিলেন, তিনি সেটা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন। আমি বাঁধা প্রদান করাতে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছেন তিনি। আমার কাছে কি কোনো গুলি আছে, যে আমি উনাকে গুলি করার হুমকি দিবো। তার অনিয়মগুলো ধরা পড়ার ভয়ে সে এই অভিযোগগুলো করছে। এর আগেও তার চাল বিক্রি করে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তার অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *