চট্টগ্রাম

ইপিজেডে জনসম্মুখে তরুণ খুন, আরও একজন গ্রেপ্তার

নগরের ইপিজেডে জনসম্মুখে ছুরিকাঘাত করে মেহেদী হাসান (১৯) নামে এক তরুণকে খুনের ঘটনায় হওয়া মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় মোট দুইজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিভয়েস২৪-কে গ্রেপ্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন।

গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার তেলিকান্দি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সাদিকুর রহমান (২৬) এবং একই জেলার সদর থানার পোরগোলা গ্রামের সর্দার বাড়ির মো. হাশেম শেখের ছেলে মো. হাফিজুল ইসলাম (২৬)। এদের মধ্যে বর্তমানে সাদিকুর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের হোয়াইট হাউস এবং হাফিজুল সিমেন্ট ক্রসিং জানু সওদাগরের দোকান সংলগ্ন লায়লা ভবনের বাসিন্দা।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে বেলা দুইটার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস ম্যাটেরিয়ালস নামের কারখানার শ্রমিক সাদিকুর এবং রমজানের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তারা একে অপরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়। পরবর্তীতে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত মেহেদী হাসান রিফাত এ বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও সেটি মেনে নেয়নি সাদিকুর। রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে—এমন ধারণা করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ে একইদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে রিফাতকে মারতে যায় সাদিকুর।

আকমল আলী পকেট গেটমুখী মেসার্স আশা মনি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিফাতের রিকশা থামিয়ে সাদিকের নেতৃত্বে রিফাত ও মেহেদী হাসানের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ওইসময় মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রিফাত এবং শহিদুল নামে দুই যুবক।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, ‘মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম ১০ তারিখ বাদী হয়ে সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলীর নাম উল্লেখসহ আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর প্রথমে আমরা আসামি সাদিকুরকে গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তীতে হাফিজুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার আমাদের অভিযান চলমান।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *