চট্টগ্রাম

ইপিজেডে তরুণ খুন, আরও এক আসামি ধরা

চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে জনসম্মুখে ছুরিকাঘাত করে মেহেদী হাসান (১৯) নামে এক তরুণকে খুনের ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় মোট তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম রমজান আলী (৩৫)। তিনি ভোলা সদর থানার গুপ্তমুন্সি বাড়ির মো. তছির আহম্মেদের ছেলে।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে বেলা দুইটার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস ম্যাটেরিয়ালস নামের কারখানার শ্রমিক সাদিকুর এবং রমজানের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তারা একে অপরকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়। পরবর্তীতে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত মেহেদী হাসান রিফাত এ বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও সেটি মেনে নেয়নি সাদিকুর। রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে—এমন ধারণা করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের নিয়ে একইদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে রিফাতকে মারতে যায় সাদিকুর।

আকমল আলী পকেট গেটমুখী মেসার্স আশা মনি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিফাতের রিকশা থামিয়ে সাদিকের নেতৃত্বে রিফাত ও মেহেদী হাসানের ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ওইসময় মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রিফাত এবং শহিদুল নামে দুই যুবক।

ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, ‘মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম ১০ মে বাদী হয়ে সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলীর নাম উল্লেখসহ আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রথমে আমরা আসামি সাদিকুরকে গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তীতে সন্দেহভাজন হিসেবে হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করি।’

‘সবশেষ আমরা মামলার এজাহারনামীয় দ্বিতীয় আসামি রমজান আলীকেও থানা এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *