ইশতেহারঃ নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করার অঙ্গীকার

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ইশতেহারের অঙ্গীকারনামায় বড় চমক থাকছে বেতনকাঠামো নিয়ে। এতে বলা হয়েছে, আগামীতে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করা হবে।

আজ (বুধবার) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে এ অঙ্গীকার করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক, কল্যাণমুখী, উপাত্তনির্ভর, স্বয়ংক্রিয় এবং সমন্বিত দক্ষ স্মার্ট প্রশাসন গড়ার মাধ্যমে জনগণকে উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ।

অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ, উদ্যোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত, দেশপ্রেমিক ও জনকল্যাণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। এ ছাড়াও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অধিকতর তৎপরতা বাড়িয়ে দুর্নীতি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং সর্বপ্রকার হয়রানির অবসান ঘটানোর কাজ চলমান থাকবে। ইশতেহারে বলা হয়েছে, জনগণকে উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলে ইতোমধ্যে সরকারি সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। কম সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে ও ভোগান্তি ছাড়া সেবা প্রদান করা যাচ্ছে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে স্বপ্রণোদিতভাবে সেবা প্রদানের মনোভাব গড়ে উঠেছে।

আরও বলা হয়েছে, প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে সরকারের তথ্যসমূহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নাগরিকরা যেন তাদের তথ্যসমূহ সমন্বিতভাবে একটিমাত্র প্ল্যাটফর্মে পেতে পারে, সেজন্য জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে ইন্টিগ্রেশনের কাজ শুরু হয়েছে।

ইশতেহারে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে মেধা, সততা, যোগ্যতা, কর্মনিষ্ঠা, দক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা, শৃঙ্খলাবোধ প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। বৈশ্বিক সংকটের সঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়া জীবনযাত্রার মান সমন্বয়ের নিমিত্তে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে এবং গৃহঋণ বাবদ সরল সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও উদ্যোগী ও জনবান্ধব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক, কর্মক্ষেত্রে সততা এবং অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারীদের অর্থ পুরস্কারসহ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।