ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়
ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি নানা বয়সী মানুষের স্রোত এখন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
একটু ভ্যাপসা গরম থাকলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি পর্যটক-দর্শনার্থী আকর্ষণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা প্রজাপতি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, হালিশহর সাগর পাড় ছাড়াও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের।
সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। বিকেল হতেই হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় মুখর হয়ে উঠে পুরো সৈকত এলাকা। কেউ মেতে ওঠেন সমুদ্রস্নানে, অনেকে চড়েন স্পিডবোটে, কেউ কেউ ঘোড়ার পিঠে।
ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট ও ওয়াটার পার্কে ঘুরতে আসা মো. রিদোয়ান বলেন, নানা ব্যস্ততায় পরিবার নিয়ে কোথাও তেমন বেড়াতে যাওয়া হয় না। ঈদের ছুটিতে তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এসেছি।
চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় বিকেল গড়াতেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় । চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ থেকে শুরু করে সিংহ, বানর, হনুমান ও বিভিন্ন প্রজাতির হরিণসহ পশুপাখি দেখতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে এসেছেন বয়স্করাও। পাশাপাশি পাহাড়ের মাঝখানে থাকা রাইডগুলোতে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছে শিশুরা।
শহর থেকে একটু দূরে সবুজের গালিচা বিছানো সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকত। এছাড়া এর পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামে দুটি ঝরনা। পর্যটকেরা সেখানেও ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়াও আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত ও মীরসরাইয়ের মহামায়া লেকেও পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন অনেকেই।