কক্সবাজার

ঈদের দিনেই কক্সবাজার সৈকতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন নগরী। দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পুরো রমজান মাস কক্সবাজার অনেকটা পর্যটকশূন্য ছিল। দর্শনার্থীর সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনেই ঢল নেমেছে ভ্রমণপিপাসুর।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটক নামতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। সকাল থেকে কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা।

বিকেলে সৈকত ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসলে নেমেছেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন, কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কিটকটে (চেয়ার-ছাতা) গা এলিয়ে দিগন্ত ছোঁয়া নীলজলরাশিতে মজে আছেন। কেউ কেউ বালুচরে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনদের এসব আনন্দঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ তুহিন সাগরে নেমেছেন স্ত্রী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে। কোমড় সমান পানিতে ভাসছেন টিউবে। আধা ঘণ্টা পর বালুচরে উঠে বসেন চেয়ার-ছাতা কিটকটে। হারুন নামের আরেক পর্যটক বলেন, নোনাজলে শরীর ভেজাতে কক্সবাজারে ছুটে আসা।

সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মী বেলাল উদ্দিন ও মাহবুবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। শুক্রবার থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।

এদিকে ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে কক্সবাজারের প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের ৮০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে। পর্যটকদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাদের বাড়তি আনন্দ দিতে থাকছে নানা আয়োজন আর চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *