ঈদে নতুন সাজ, নতুন রূপে চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্র
ঈদের লম্বা ছুটিতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে বের হন অনেকেই। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর থাকে বিনোদনকেন্দ্র ও পর্যটনস্পট।
পাহাড়, সাগরে ঘেরা বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঘুরতে যান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বাটারফ্লাই পার্ক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ডিসি পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্ক (মিনি বাংলাদেশ), আগ্রাবাদ-জাম্বুরি পার্ক, কাট্টলি সমুদ্র সৈকত ও সিআরবি শিরীষতলায়। এসব জায়গায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাজ সাজ রব।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা:
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসের শুভ বলেন, ঈদে দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুতি চলছে। চিড়িয়াখানার পশু-পাখিদের খাঁচা, দেয়াল ও সিঁড়ি আগেই রং করা হয়েছে। এখন আবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে জলহস্তী। এছাড়া তিন মাস আগে যে তিনটি বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে-সেগুলোও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার ধারণক্ষমতা পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ। কিন্তু প্রতি বছরই ধারণক্ষমতার বেশি দর্শনার্থী হয়। তবে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
ডিসি পার্ক:
মূল শহর থেকে একটু বাইরে অবস্থিত ডিসি পার্ক। প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে চাইলে ডিসি পার্কের কোনো বিকল্প নেই। এখানে টিকেট মূল্য ৩০ টাকা।
আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশুপার্ক:
আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশুপার্কের পরিচালক মো. জুয়েল বলেন, ঈদে আমাদের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে নতুন ড্রাগন রাইড। যেটি রমজানের ঈদের সময় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এবারও শিশুদের জন্য তাই থাকছে। এছাড়া এখানে সবমিলিয়ে আরও ৪০টি রাইড আছে। যেগুলো শিশু-কিশোর ও তরুণরা উপভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, পার্কে প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ৪০ টাকা এবং ভেতরের প্রতিটি রাইডের মূল্য ৪০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই একটি উদ্যোগ নেয়। সেটি হচ্ছে-বিভিন্ন এতিমখানা, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ ডিস্কাউন্ট দেওয়া হয়। আবার পথশিশুদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পার্কে প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়। এবারও তাই রয়েছে। পার্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
স্বাধীনতা কমপ্লেক্স (মিনি বাংলাদেশ):
স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের জেনারেল ম্যানেজার মো. আলী জনী বলেন, স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে আসা মানেই এক জায়গায় পুরো বাংলাদেশকে দেখা। ঈদে বিপুল দর্শনার্থীর কথা মাথায় রেখে আমাদের ঈদের প্রস্তুতিও ভালোভাবে নেওয়া হয়েছে। পার্কের বিভিন্ন স্থানে রং করা হয়েছে। এখানে আটটি রাইড আছে। টাওয়ারসহ প্রবেশ মূল্য ২শ’ টাকা। শিশুদের জন্য ১৫০ টাকা। ২শ’ টাকা টিকেটের সাথে দুটি রাইড ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে একটা হচ্ছে টাওয়ারের উপরে ঘূর্ণয়মান রেস্টুরেন্টে যেতে পারবে এবং পাইরেট শিপ রাইডে ঘুরতে পারবে। এছাড়া টাওয়ারের উপরে থ্রি-ডি আর্ট গ্যালারি আছে। যেখানে দর্শনার্থীরা বিভিন্নভাবে ছবি তুলতে পারবে। পার্ক সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাটারফ্লাই পার্ক:
ইন্ট্রাকো গ্রুপের বাটারফ্লাই পার্ক এডমিন ইন্দ্রজিৎ আচার্য বলেন, নতুন দুটি রাইড যোগ করা হয়েছে। সেগুলো আছে। এরমধ্যে একটি পানিতে ঘুরার বোর্ড, আরেকটি ট্রেন রাইড। এ দুই রাইডে টিকেট ৫০ টাকা। সব মিলে এখানে মোট ৮টি রাইড আছে। বাকি রাইডগুলো ফ্রি থাকে সবার জন্য। পার্কের টিকেট মূল্য রাখা হয়েছে ১শ’ টাকা এবং বাচ্চাদের জন্য রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা।
এছাড়া আগ্রাবাদ-জাম্বুরি পার্কসহ উন্মুক্ত স্থানের পার্কগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ দুই স্থান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।