চট্টগ্রাম

ঈদ ঘিরে মুরগি লাগামছাড়া

ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার খবর কারও অজানা নয়। দাম যা-ই হোক, অন্তত লাগামের মধ্যে থাকবে এমন ধারণা ছিল সবার। কিন্তু ঈদ ঘিরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনেদিনে একেবারে লাগামহীন মুরগির বাজার। প্রতিদিনই বেড়েছে দামের হিসাব। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২২০ টাকার মুরগি এখন ঈদবাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের সময় মুরগির চাহিদা বাড়ার কারণে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে বাজারে প্রতিদিনই মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এদিকে, প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৩৫ থেকে ৬৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদে বাড়তি চাহিদার কারণেই বেড়ে যায় মুরগির দাম

রমজান শুরুর পর থেকেই দফায় বাড়তে থাকে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর সেই সঙ্গে ঈদকে কেন্দ্র করে যতই দিন ঘনিয়ে আসছিল; ততই বাড়তির দিকে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত গরীবের এ মুরগির দাম ঠেকেছে ২৭০ এ। মূলত ঈদকে ঘিরে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে থাকে।

এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ার পেছনে খামারি ও ব্যবসায়ীরা বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেটকে দুষছেন। সঙ্গে রয়েছে পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, মেডিসিন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শীত মৌসুমে উৎপাদন কম হওয়ারও কারণ।

বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের সময় ব্রয়লার মুরগির চাহিদা একটু বেশি থাকে। সেই অজুহাতে খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তাদেরও বাড়তি দামে কিনে ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী শরিফুল জামান বলেন, ‘দাম বাড়তি সেটা মানছি। তবে এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। ঈদে মুরগির একটু চাহিদা বাড়তি থাকে। আর বাড়তি চাহিদা থাকায় সাপ্লায়াররা বাড়তি দাম নিচ্ছেন। আমরা শুধু কেনা দামেই বিক্রি করছি। বলতে গেলে, চাহিদা বাড়লেই সাপ্লায়াররা দাম বাড়ায়, আমাদেরও বাড়াতে হয়।’

ঈদের আগে মুরগির দাম বাড়ায় ক্রেতারা ক্ষুব্ধ। হাসান কুতুব নামে এক ক্রেতা জানান, ব্যবসায়ীরা কোনো উৎসব পেলেই জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেটা ঈদ বলেন বা অন্য কোনো উৎসব। এটা ব্যবসায়ীদের পুরোনো অভ্যাস। তাই ঈদকে ঘিরে তারা এখন গরীবের প্রোটিনেও দাম বাড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *