ঈদ বাজারে শেষ মুহূর্তে বিক্রি বেড়েছে প্রসাধনী সামগ্রীর
কেউ কিনছেন পছন্দের চুড়ি, কানের দুল ও মেকআপ বক্স। কেউ কিনছেন পোশাকের সঙ্গে লিপস্টিক ও নেইলপলিশ।
পিছিয়ে নেই তরুণরাও। শেষ মুহূর্তে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের আতর ও বডি স্প্রে। যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
ঈদের বাকি আর মাত্র দুইদিন। অধিকাংশ তরুণ-তরুণী ইতোমধ্যে পোশাক কিনে ফেলেছেন। তাই এখন ভিড় করছেন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে।
এবারের ঈদ গরমকালে হওয়ায় সাজের ক্ষেত্রে সচেতন নারীরা মাথায় রাখছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ থেকে ত্বক রক্ষা করতে হবে ঠিকই, কিন্তু দাবদাহে ভারি মেকআপও ফেলতে পারে অস্বস্তিতে। এবারের ঈদে তাই হালকা ও স্নিগ্ধ সাজসজ্জার প্রতিই তরুণীদের ঝোঁক।
নগরের ভিআইপি টাওয়ারে প্রসাধনী কিনতে আসা বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শর্মী আক্তার খুঁজছিলেন পছন্দের মেকআপ। তিনি বলেন, ‘পোশাক-আশাক, জুতা আগেই কেনা হয়েছে। শেষ সময়ে প্রসাধনীতে সাজগোজ সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি চলছে। যেহেতু গরম পড়ছে, তাই পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রসাধনী কিনছি। সারা বিশ্বেই এখন ‘নো মেকআপ লুক’-এর ধারা জনপ্রিয়। বাংলাদেশের নারীরাও এদিকে ঝুঁকছেন। তাই একটু সময় নিয়ে ভালো মানের প্রোডাক্ট কিনতে চাচ্ছি’।
নগরের বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, প্রসাধনীর দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। দর কষাকষিতে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা। মার্কেটভেদে দামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে বিউটি প্রোডাক্টগুলোর ক্ষেত্রে। নগরের রিয়াজ উদ্দিন বাজারের তামাকমুণ্ডি লেনের প্রসাধনীর দোকানগুলোর তুলনায় অভিজাত শপিংমলের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে দামের পার্থক্য সবচেয়ে বেশি।
দামের এমন পার্থক্যের কারণ হিসেবে পণ্যের মানের তারতম্যকে দায়ি করছেন বিক্রেতারা। তামাকমুণ্ডি লেনের এক প্রসাধনী দোকানের ব্যবসায়ী বলেন, ভালো প্রোডাক্ট নিলে দাম একটু বেশি পড়বে। মানের কারণে দামের পার্থক্য হয়, অরিজিনাল বিদেশি প্রোডাক্টের দাম বেশি, অথচ তার অর্ধেক দামে দেশিয় কপি প্রোডাক্ট পাওয়া যায় বাজারে। পণ্য না চিনলে বেশি দামে খারাপ মানের পণ্য কিনতে হবে।
নগরের সাফা আমিন মার্কেটের তাকওয়া গ্যালারীর মালিক মোহাম্মদ তৌহিদ জানান, আনুষঙ্গিক খরচের কারণে দামের হেরফের হয়। এমনিতে প্রসাধনী সামগ্রির দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। যারা এসব পণ্য কিনেন তারা দাম সম্পর্কে ধারণা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, রমজানের শেষ সময়ে বেচাকেনা কিছুটা জমে উঠে। বেচাকেনা থাকলেও পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় তেমন বেশি না। তারপরও মোটামুটি ব্যবসা হচ্ছে।
তামাকমুণ্ডি লেনের একটি প্রসাধনীর দোকানের বিক্রয়কর্মী মো. আশরাফ পারভেজ জানান, ছেলেরা বেশি কিনছেন পারফিউম। পাশাপাশি কেউ কেউ কিনছেন ব্রেসলেট ও গলার চেইন।