উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপির ‘না’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না বলেই তারা মনে করেন। ফলে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তারা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছেন।
আওয়ামী লীগের জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের যে ভোট হতে যাচ্ছে, সেখানে নৌকা প্রতীক দেবে না দলটি। সেক্ষেত্রে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে? গতকাল মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন রাখা হয় রিজভীর সামনে।
জবাবে তিনি বলেন, দেখুন, আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনই তো সুষ্ঠু হবে না বলছি। সেখানে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে সিদ্ধান্ত তা হচ্ছে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। কারণ, তার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনো অবাধ সুষ্ঠু হয় না। আমরা বরাবরই বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনো শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই নেওয়া আছে। বিএনপি এখনও সেই সিদ্ধান্তেই অটুট রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সোমবার বলেছেন, প্রথম ধাপে শখানেক উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হবে। বাকিগুলো কয়েক ধাপে মে মাসে করা হবে। এ নির্বাচনের না যাওয়ার কারণ হিসেবে আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোর প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে আপনারা নির্বাচন দেখেছেন এবং সেই নির্বাচনের ফলাফল, সেই নির্বাচনের প্রকৃতি, সেই নির্বাচনের নানা ধরন–আঙ্গিক নিশ্চয় ধারণ করা আছে আপনাদের নিজস্ব মোবাইলে বা আপনাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে। এ বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার প্রমাণ আছে। শেখ হাসিনা যতই কথা বলুক, তিনি কোনোক্রমে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জনগণের যে শক্তি, জনগণের ইচ্ছা, এটাতে তিনি বিশ্বাস করেন না। করে না বলেই আজকে দেশ–বিদেশে থেকে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের যে দাবি জানানো হয়েছে, এটাতে তিনি কর্ণপাত না করে তিনি তার মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী এবং তাদের প্রভুদের সমর্থন নিয়ে তিনি একটি অদ্ভুত তামাশার নির্বাচন করেছে। মানুষের কাছে সেটি হয়েছে বর্জনীয়, মানুষের কাছে সেটি হয়েছে ঘৃণ্য।