উৎপাত কমছে না ড্যান্ডিসেবীদের
জেলা প্রশাসন ও পুলিশের অভিযানের মুখে কয়েক দিন পালিয়ে থাকলেও নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় ফের সক্রিয় হয়েছে ড্যান্ডিসেবীরা। তাদের উৎপাত এবার দুই নম্বর গেট ছাড়িয়ে ষোলশহর ও মুরাদপুর এলাকায়ও শুরু হয়েছে।
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা- দুই নম্বর গেট, ষোলশহর, মুরাদপুর এলাকার প্রধান সড়কে দিনে-দুপুরেই ড্যান্ডি সেবন করে ছিন্নমূল শিশু-কিশোররা স্থানীয়দের অতিষ্ঠ করে তোলেছে। ড্যান্ডিতে বুঁদ হয়ে তারা জড়িয়ে পড়ছে চুরি-ছিনতাই, মারামারিতে।
গতকাল দুই নম্বর গেট ও ষোলশহর এলাকায় ২০-২৫ জন কিশোরকে প্রকাশ্যে ড্যান্ডি সেবন করতে দেখা গেছে। মুখে পলিথিন লাগিয়ে দলে দলে ড্যান্ডি সেবনে বুঁদ হয়ে থাকছে বিপদগামী এই তরুণ ও কিশোরের দল। ফুটপাত-সড়ক বিভাজকে বসে প্রকাশ্যে ড্যান্ডিসেবনে মত্ত থাকছে তারা।
ড্যান্ডিসেবীদের উৎপাত বাড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নগরীর ২ নম্বর গেট, সিএন্ডবি কলোনি, ফরেস্ট গেট ও ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। কেউ বাধা দিতে গেলেই ড্যান্ডিসেবীরা তেড়ে আসছে বেøড-লোহার রড নিয়ে। ড্যান্ডিসেবীদের থামাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছিন্নমূল তরুণ-কিশোরের দল ড্যান্ডি ও মাদক সেবন ছাড়াও চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িত। সুযোগ ফেলেই পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের মোবাইল, মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে ছোঁ মেরে পালিয়ে যায়। এছাড়াও মালবাহী বিভিন্ন যানবাহন থেকে টান মেরে পণ্যসামগ্রী চুরি-ছিনতাইও করে থাকে। মগের মুল্লুকের মতো গুটিকয়েক বিপদগামী তরুণ-কিশোরদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরে ড্যান্ডিসেবীদের অরাজকতা ও রাম রাজত্ব চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো যেন দেখেও না দেখার ভান করে ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ড্যান্ডিসেবীদের উৎপাত নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে পূর্বকোণ। এরপর পুলিশ ও জেলা প্রশাসন তাদের ধরতে অভিযান চালায়। তবে এই অভিযান নিয়মিত না হওয়ায় ফের সক্রিয় হচ্ছে ড্যান্ডিসেবীরা।