এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা ফরিদপুরের ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের
‘যতদিন পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা সব পরীক্ষার্থী ও অন্যদের মুক্তি দেওয়া না হবে, ততদিন পর্যন্ত ফরিদপুরের প্রথম সারির সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী চলমান ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে না’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
সাত কলেজগুলো হলো- ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ, ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজ, চরভদ্রাসন সরকারি কলেজ ও ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ওইসব কলেজের সাধারণ এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ওই সাতটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ফেসবুকে এ বিবৃতি প্রচার করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফরিদপুরের ২০২৪ ব্যাচের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা এই মর্মে বিবৃতি দিচ্ছি যে, যতদিন পর্যন্ত অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার সব এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অন্যদের মুক্তি দেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে না।
চলতি বছর ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১ হাজার ৯১৫ জন, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে ১ হাজার ৪৩২, ইয়াছিন কলেজ থেকে ১ হাজার ৮৯১ জন ও ফরিদপুর সিটি কলেজ থেকে ৫৬৩ জনসহ এই চারটি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ৫ হাজার ৮০১ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া বাকি তিনটি কলেজের মোট কতজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছেন তা জানা যায়নি।
ফরিদপুরের সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর হক খান বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এ জাতীয় একটি বিবৃতির কথা তিনি জানতে পেরেছেন। তবে বৃহস্পতিবার এক ঘোষণা দিয়ে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চলমান এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রমা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া কোনো ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে লিখিত আকারেও বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। তবে, এভাবে পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না!