একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রামের তিন গুণিজন
শিল্পকলা, ভাষা সাহিত্য ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রামের তিন গুণিজন এবার একুশে পদক পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এবারের একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে এবার তালিকায় রয়েছেন শিল্পকলায় (সংগীত) বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, ভাষা ও সাহিত্যে মিনার মনসুর এবং শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক শিল্পী কল্যাণী ঘোষ। জন্ম থেকেই পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন। সংগীতের অমিয় ধারায় নিজেকে সিক্ত করার পাশাপাশি গড়ে তুলেছিলেন কিছু সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার জাদুকরী কণ্ঠে উজ্জীবিত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের। বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরিতে। ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’সহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনেক গানের শিল্পী তিনি। সংগীতশিল্পী প্রবাল চৌধুরী, উমা খান ও কল্যাণী ঘোষ আপন ভাই-বোন। একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত গান করতেন।
মিনার মনসুরের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ার বড়লিয়া গ্রামে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক তিনি। ‘এই অবরুদ্ধ মানচিত্রে’, ‘অনন্তের দিনরাত্রি’ , ‘অবিনশ্বর মানুষ’ সহ একাধিক কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ বই রয়েছে তাঁর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের চেয়ারম্যান জিনবোধি ভিক্ষু। আনোয়ারায় ‘আন্তর্জাতিক নবপণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের উদ্যোক্তা তিনি।
চট্টগ্রামের এই তিনজন ছাড়াও এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)।
শিল্পকলার সংগীতে পেয়েছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। অভিনয়ে ডলি জহর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।