জাতীয়

এনআইডি: নাম সংশোধনে পুনঃআবেদনের সুযোগ ইসির

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নাম সংশোধন আবেদন বাতিল হলে দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে নিজের নামের পাশপাশি পিতা-মাতার নামের সংশোধনের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ থাকছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই ও সরবরাহ) প্রবিধানমালা-২০১৪ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে এই সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন ইসি সচিব শফিউল আজম।

প্রজ্ঞাপনে ২০(১) নতুন একটি ক্রমিক নম্বর সন্নিবেশ করে বলা হয়েছে, নিজ নামের বানান সম্পূর্ণ পরিবর্তন ব্যতীত সংশোধন, বাংলা ও ইংরেজি নামের পারস্পরিক মিল রেখে সংশোধন ও মূল নাম ঠিক রেখে আংশিক সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের আবেদন বাতিল হলে পুনঃআবেদন করা যাবে। ‘খ’ ক্যাটাগরির এই আবেদন নিষ্পত্তি করবেন সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ/সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড/এডমিট কার্ড/মার্কশিট জমা দিতে হবে। আর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকলে অনলাইন জন্মসনদ, নাগরিক সনদ, পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), সন্তানদের এনআইডি/অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিতে হবে।

অন্যদিকে প্রজ্ঞাপনের ২১ নম্বর ক্রমিকের ২ নম্বর কলাম সংশোধন করে পিতা অথবা মাতা যে কোনো একজনের নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তনের আবেদনের পাশপাশি পিতা বা মাতার নামের বানান সংশোধন ও মূল নাম ঠিক রেখে আংশিক সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের পুনঃআবেদন করার সুযোগ আনা হয়েছে। ‘খ’ ক্যাটাগরির এই আবেদনও নিষ্পত্তি করবেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

আবেদনকারী এজন্য অনলাইন জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ/রেজিস্ট্রেশন কার্ড/এডমিট কার্ড/মার্ক শিটের পাশপাশি, চাকরি বই/পেনশন বইয়ের সত্যায়িত কপি, রেজিস্ট্রার্ড কাজী থেকে কাবিননামা, পিতা-মাতার এনআইডি, ভাই-বোনের এনআইডি/জন্ম নিবন্ধন/শিক্ষা সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মুক্তিযোদ্ধা সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে সম্পাদিত হলফনামা, পারস্পরিক বিরোধ/অস্বীকৃতির ক্ষেত্রে ডিএনএ রিপোর্ট, সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিতে হবে।

অন্যদিকে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির এখতিয়ার তুলে দিয়ে তা আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালককেও ‘ক’, ‘ক-১’, ‘খ’, ‘খ-১’ এবং ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি উত্থাপিত হলে ওই অভিযোগ বা আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টিও প্রজ্ঞাপনে সংযোজন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *