এবারও যাত্রীদের ছাদযাত্রা ঠেকাতে পারল না রেলওয়ে
ট্রেনের ছাড়ে চড়ে ঈদযাত্রা ঠেকাতে টানা তিনদিন কড়া নজরদারির পরেও শনিবার রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তা ধরে রাখা যায়নি। পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ ট্রেন ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। বগিতে আসন না পাওয়ায় ছাদভর্তি যাত্রী নিয়ে কমলাপুর ছাড়ে কয়েকটি ট্রেন।
তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বাস্তবতার কারণে আর উৎসবমুখর পরিবেশের কারণে তারা যাত্রীদের সঙ্গে জোর করতে পারেননি।
শনিবার (১৫ জুন) কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই উঠেছেন ছাদে। ট্রেনটি রাত ৯টার পরে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আখতারুজ্জামান রিপন নামে এক যাত্রী লিখেছেন, ‘রেলের বাঁশ থেরাপিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিনা টিকিটের যাত্রীদের জয়জয়কার কমলাপুর ষ্টেশনে। নামমাত্র বাঁশ থেরাপিতে রেলের কর্মকর্তারা কতটা পকেট ভারী করতেছেন সেটাও দেখার বিষয়!!!
এছাড়া টিকিট কেটেও আজ আসন পাননি এমন যাত্রীরা ছাদে উঠেছেন। প্রতিবার বাঁশের গেট করে যাত্রীদের মধে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাইলেও শেষের দুই দিনে তা আর টেকে না। র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শেষের দুই দিন অতিরিক্ত যাত্রী ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে যায়।
এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা বিভাগীয় রেলওেয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, শনিবার ও রোববার যাত্রী আটকানো সম্ভব নয়।
এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এবার তিনি এ প্লাস পাবেন। তবে কমলাপুরে নিয়োজিত রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শুরুর দিকে যাত্রীসেবার মান ধরে রাখা গেলেও শেষের দিকে এসে এটি আর পারা যায় না।
দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেছিলেন, আজকে সারা দিনে ২টা স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এই ট্রেগুলোর মাধ্যমে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ছাকা ছাড়তে পারবেন।
তিনি এটাও উল্লেখ করেন, আন্তঃনগরে ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হলেও দিনে চাহিদা থাকে লাখের কাছাকাছি।