এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড প্রায় ৮ কোটি টাকা
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। এর আগে এত টাকা আর পাওয়া যায়নি।
চার মাস ১০ দিন পর গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়। তারপর সারা দিন টানা গণনা শেষে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মসজিদের পক্ষ থেকে জানানো হয় টাকার পরিমাণ। নগদ টাকা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও সোনা-রূপার অলঙ্কারও পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় দানবাক্স খোলা উপকমিটির আহ্বায়কসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। দানবাক্স খোলা ও গণনাকে ঘিরে মসজিদসহ আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টাকাগুলো গণনা করা হয়। এতে সহযোগিতা করেন রূপালী ব্যাংকের ৭০ কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় মাদরাসার ১৫০ জন ছাত্র-শিক্ষকসহ ২২০ জন। পরে টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। সেদিন পাওয়া যায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
স্থানীয়রা জানায়, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এই মসজিদে দান করে থাকেন। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসেন পাগলা মসজিদে। দান করেন মোটা অঙ্কের টাকা।
মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার লভ্যাংশ থেকে গরিব অসহায় লোকদের সহযোগিতা করা হয়। তাছাড়া ক্যানসারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে মসজিদটি আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছে।
মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দানের টাকায় মসজিদের বড় ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ ঘিরে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। যেখানে ৩০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। থাকবে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ আরও নানা ব্যবস্থা। কমপ্লেক্সের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।