এলাকাবাসীকে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাক্ষী দিতে বাধ্য করেন যে জনপ্রতিনিধি!
মিথ্যা মামলায় সাক্ষী দিতে বাধ্য করাসহ নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লোকমান হাকিম ওরফে মনু মেম্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে আমিলাইষ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ পারওয়াল বাড়ি এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবুল হাশেম, হোসেন আরা বেগম ও রশিদা বেগম।
ভুক্তভোগী আবুল হাশেম অভিযোগ করে বলেন, ‘৩ মাস আগে আমাদের এলাকায় ধান চুরিকে কেন্দ্র করে এক পিকআপ চালককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। কে বা কারা ওই পিকআপ চালককে হত্যা করেছে আমরা কিছুই জানি না। কিন্তু মনু মেম্বার তার উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমার ছেলে মহিউদ্দিনকে তুলে নিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করেন। ছেলে সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন করে এক রাত আটকে রাখা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। সাক্ষী নেওয়া শেষ হলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনু মেম্বার প্রতিনিয়ত আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
হোসেন আরা বেগম নামে একজন বলেন, ‘স্থানীয় মিনহাজের সাথে চলাফেরা করায় চলতি বছরের ২৭ রমজান মনু মেম্বার আমার ছেলেকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে।’
আরেক ভুক্তভোগী রশিদা বেগম বলেন, ‘ঈদের নামাজের সময়সূচি নিয়ে আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় মনু মেম্বার তাকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেয়। আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করে। আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়িঘরে লুটপাট চালায়। আমরা তার অত্যাচারে দীর্ঘ পাঁচ মাস গ্রামে থাকতে পারিনি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য লোকমান হাকিম মনুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , ‘এসব নিয়ে আমি কিছুই জানি না। এমন কর্মকাণ্ডের সাথে আমি কখনো জড়িত ছিলাম না।’