ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবু আলম
ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এ ফ্রিজ কিনে এবার মিলিয়নিয়ার হয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. আবু আলম। পেয়েছেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এই নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৬ জন গ্রাহক।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকার কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আবু আলম ও তাঁর পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
ওয়ালটন গ্রাহকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে জানিয়ে সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার আহ্বান জানান অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস বলেন, অনেক কোম্পানি থেকে অনেক ধরনের অফার দেয়া হয় আল্টিমেটলি কেউ পায় কেউ পায় না এরকম একটা অনিশ্চিত ব্যাপার থাকে। যখন অফার দেয়া হয় তখন কিন্তু আমরা সকলেই জানি কিন্তু যখন অফারটা শেষ হয় তখন আদৌ কি পাচ্ছে না পাচ্ছে না এই বিষয়টা আমরা আসলে খুব একটা দেখতে পাই না। সেই জায়গা থেকে এই যে ওয়ালটন মিলয়নিয়ার ক্যাম্পেইন করছে এতে ৩৬ জনকে মিলিয়নিয়ার হিসেবে হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়েছে। এই যে একটা অথেনটিক ব্যাপার এরকম একটা বিশ্বাসের জায়গা থেকে সকলের কাছে পুরষ্কার পৌঁছে দিচ্ছে এটা সত্যি ভীষণ ভালো লাগছে। আর বেলা শেষে একটি কথা বলবো যে ওয়ালটন শুধু মাত্র ওয়ালটন না আমাদের বাংলাদেশের পণ্য। আমরা নিজেদের দেশের পণ্যকে উৎসাহ নিয়ে ব্যবহার করবো এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবো। এক্ষেত্রে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। ওয়ালটন কাজের জায়গা থেকে আজকে এই পর্যন্ত তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমাদের সামনে ঈদ। ঈদের বড় একটা মৌসুম। আপনারা বিভিন্ন পণ্য কিনবেন। টিভি, ফ্রিজ, এসি যেহেতু গরমও পড়ছে সবকিছু মিলিয়ে আমি বলবো আপনারা ওয়াল্টন পন্য কিনবেন, মিলিয়নিয়ার হবেন এবং দেশের টাকা দেশেই রাখবেন।
অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশি পণ্য কেনা ও ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, অফার নিয়ে ওয়ালটনের একটাই স্লোগান হচ্ছে ওয়াল্টনের কমিটমেন্ট কেউ থামায় রাখতে পারবেনা। ওয়ালটন যে কমিটমেন্ট করে অবশ্যই অবশ্যই তা ফুলফিল করে। বাংলাদেশে অনেকেই আছে বিভিন্নরকম অফারে অনেক কিছু দেয় বা অনেককিছু দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এটা অনেক সময় পরে দেয় কিংবা দেয় না কিন্তু আমরা সেটা কখনোই করিনা। ওনি চার থেকে পাচদিন আগে এটা উইন করেছে আজকে আমরা সবাই অফিসিয়ালি তাকে চেকটা হ্যান্ডওভার করেছি। যেহেতু ওয়ালটন আমাদের দেশের গর্বের একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা সব সময় আমাদের কথা রাখার চেষ্টা করি। ওয়ালটনের কমিটমেন্ট কেউ থামায় রাখতে পারবেনা।
ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৬তম মিলিয়নিয়ার হয়ে মহাখুশি আবু আলম ও তার পরিবার। আবু আলম বলেন, ফ্রিজটা কিনেছি একটা গিফটের জন্য। কোন ফ্রিজ পাব বা কোন লটারি পাবো এ ধরনের কোন আশা ছিল না। আগে থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনি, কারও থেকে কোন অবজেকশন পাইনি। যার জন্য যখন কোথাও ফ্রিজ উপহার দেই তখন ওয়ালটনটাই কিনি। তো এভাবে কিনতে কিনতে আমার যতটুকু মনে পড়ে আমার এখন এটা ২৭তম ফ্রিজ কিনা ওয়ালটন থেকে। ওই ২৭তম এর মধ্যেই ড্রটা হয়েছে সে টাকাটা পেয়েছি। গিফট পেলে মনের খুশি অবশ্যই আছে। তারপরও আমার মত একজন লোক না পেয়ে একজন গরীব পেলে আরও বেশি খুশি হতাম। যেহেতু পাইছি এটা আমি সামাজিক কাজে ব্যবহার করব। বাকিটা আল্লাহপাক যেটা ভালো মনে করে।
বিক্রয় পরবর্তী সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি পন্য কিনতে ক্রেতাদের উৎসাহ বাড়াতেই এই আয়োজন বলে জানান ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ ফিরোজ আলম। তিনি বলেন, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনটা আমরা প্রথমে শুরু করেছিলেন আমাদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান স্যার। স্যারের একটা প্ল্যান ছিল আমাদের যে প্রোডাক্টগুলো আফটার সেলস সার্ভিস দিতে হয়। এই সার্ভিসটা দিতে গিয়ে মোস্ট অফ টাইম দেখা যায় গ্রাহকের বাসা চেঞ্জ করতে গিয়ে কিংবা কোন কারণে ওয়ারেন্টি কার্ড নষ্ট হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। সো এই ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে যাতে বেশিরভাগ মানুষ ডিজিটালাইজেশনে নিয়ে আসা যায় তাদের যাতে কাগজ না লাগে একটা মোবাইল ফোন নাম্বার বললেই যাতে সে এই সার্ভিসটা পায়। এই চিন্তা থেকে আসলে ডিজিটালাইজেশন টা শুরু। আমরা প্রথম এটার নাম দিয়েছিলাম ডিজিটাল ক্যাম্পেইন তারপর টু থ্রি ফোর এভাবে সিজন পার করেছি। এটা করার কারন যাতে মানুষ একটু উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পন্য কেনে। আমরা ডবল মিলিয়নিয়ার দিয়েছি, গাড়ি দিয়েছি, এভাবে আমরা কোটি কোটি টাকা ক্রেতাদের মধ্যেই দিয়েছি। যেমন ৩৬ টা মিলিয়নিয়ার চলতেছে। সো এখানে তো আপনি বুঝতে পারছেন যে একটা বড় নাম্বার মানুষের জন্য আমরা মিলিনিয়ার হওয়ার সুযোগ করেছি। প্রথম বিষয়টা হলো ডিজিটালাইজেশনে নিয়ে আসা আমাদের ডাটাবেজটাকে। কাস্টমাররা যাতে সহজেই আফটার সেলস সার্ভিস পায়। সেকেন্ডলি হচ্ছে, আমরা যে ব্যবসা করে প্রফিট করি, কাদের কাছ থেকে করি? আমাদের কাস্টমারের কাছ থেকেই তো করি। সেজন্য কাস্টমারদেরকেও কিছু রিটার্ন গিফট দেয়া এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। তারা পণ্য কিনে আমাদেরকে এগিয়ে নিচ্ছে এর বিনিময়ে তাদের জন্য একটা কিছু আয়োজন করা। যাতে তারা আমাদের কাছ থেকে আরেকটা পণ্য কেনেন। এজন্যই আসলই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে আসা।
‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এ উৎসবে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল বারী, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার নেসার উদ্দীন।