খেলা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫৭ রানের জবাবে ৯ জনের অস্ট্রেলিয়ার ২২২

‘আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের দারুণ শুরু।’

‘উইন্ডিজ জিতেছে, তবে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে আমাদের খর্বশক্তির দলের লড়াই ছিল দারুণ।’

ইনস্টাগ্রামে দুটি পোস্টের ক্যাপশন। প্রথমটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের। পরেরটি অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ দলের অফিশিয়াল আইডি থেকে পোস্ট করা। ত্রিনিদাদে প্রস্তুতি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৭ উইকেটে ২২২ রান। বোলিং আক্রমণ যেমনই হোক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রস্তুতি দারুণই হয়েছে। অন্যদিকে রান তাড়ায় সে অর্থে কখনোই তেমন হুমকি জাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে অস্ট্রেলিয়ার মতে, ৯ জনের দল নিয়ে এই স্কোরই অনেক।

আইপিএলে খেলা মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাভিস হেড দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি। বুধবার ত্রিনিদাদ পৌঁছেছেন মার্কাস স্টয়নিস। তবে তাঁর কিট এখনো মায়ামি থেকে এসে পৌঁছায়নি বলে এ ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। নামিবিয়ার বিপক্ষে ৯ জন নিয়ে হেসেখেলে জিতলেও এবার আর পেরে ওঠেনি অস্ট্রেলিয়া। সে ম্যাচের মতোই কোচ ও নির্বাচকেরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বদলি ফিল্ডারের কাজ সেরেছেন। প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে সে দায়িত্বে ছিলেন সহকারী কোচ ব্র্যাড হজ ও আন্দ্রে বরোভেক।

খর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়ার ওপর ছড়িই ঘুরিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের এমন বড় স্কোরের পেছনে মূল অবদান মূলত তিনটি ইনিংসের। তিনে নামা নিকোলাস পুরান ৫ চার ও ৮ ছক্কায় করেছেন ২৫ বলে ৭৫ রান। অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের ২৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার ও ছক্কা। ১৮ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেরফ্যান রাদারফোর্ডও মেরেছেন ৪টি করে চার ও ছক্কা।

টিম ডেভিডসহ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং করেছেন ৫ জন। ডেভিড বোলিংয়ে ওপেনও করেছেন। মজার ব্যাপার, ৪ ওভারে সবচেয়ে কম ৪০ রান খরচ করেন এ ‘পার্টটাইম’ অফ স্পিনারই। পাওয়েলের উইকেটও নিয়েছেন। তবে দুই স্বীকৃত স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যাশটন অ্যাগার তাঁদের ৮ ওভারে দেন ১২০ রান। ৫৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন জশ হ্যাজলউড, নাথান এলিস দেন ৪২ রান।

ব্যাটিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে অ্যাগারকে ওপেনিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাগারের জন্য এ ভূমিকা অবশ্য একেবারে নতুন নয়, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুবার এ অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। পাওয়ারপ্লেতে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২৮ রানের ইনিংসও খেলেন। কিন্তু ৬ ওভারের মধ্যেই ওয়ার্নার, অ্যাগার ও মার্শকে হারিয়ে কার্যত লড়াই থেকে ছিটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার আউট হন শামার জোসেফের বলে।

চারে নামা জশ ইংলিস ৩০ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৫ রান, ইনিংসে সেটিই সর্বোচ্চ। এরপর ডেভিডের ১২ বলে ২৫, ম্যাথু ওয়েডের ১৪ বলে ২৫ ও এলিসের ২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস ব্যবধান কমিয়েছে। আলজারি জোসেফ ও গুড়াকেশ মোতি নেন ২টি করে উইকেট।

২ জুন গায়ানার প্রভিডেন্সে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ ৬ জুন ওমানের বিপক্ষে, বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *