কক্সবাজারচট্টগ্রাম

কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৩

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে চুরি-ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কার্যকলাপ, ইভটিজিংসহ নানা অভিযোগে ট্যুরিস্ট পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নভেম্বর ২০২৩ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের বিভিন্ন অভিযানে ছিনতাইকারী সাকিব, তৌহিদ, নুরুল ইসলাম, ইসমাইল, শরীফ, বেলাল, সাইফুল বাহিনীর প্রধান সাইফুল, সোহেল বাহিনীর প্রধান সোহেলসহ এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি নাগরিককে ছুরি দিয়ে আঘাত করা ছিনতাইকারী দলের সদস্য শিহাব বাহিনীর প্রধান শিহাব ও ছাতা মার্কেটের দস্যুতার ঘটনার সাথে জড়িত বাবুবাড়ির প্রধান বাবুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া এসব আসামিদের নিকট থেকে দেশীয় অস্ত্র, ছিনতাই করা মোবাইল, অটোরিকশা ও ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। অপরাধের সাথে জড়িত বেশিরভাগ আসামিই আদালতে নিজেদের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে দণ্ড বিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম নতুন বাহারছড়ার মো. ইশান (২১), মো. আবির হোসেন সান (২৩), মো. আবির (১৯), মেহেদী হাসান বাবু (১৬), ভোলার আলাউদ্দিন (৪০), জানারঘোনার মো. জোবায়ের (২৬), কলাতলীর মো. আজু (২৮), ঝাউতলা গাড়ীর মাঠের মোসাইদুল ইসলাম সামাদ (১৯), মো. শিহাব (২০), কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ এর মো. নুর কামাল (১৯), মো. নুরুল ইসলাম (১৯), ফারুক (২০), দক্ষিণ ঘোনারপাড়ার শাহ আলম (৩০), ঝিলংজা দরিয়ানগর বড়ছড়ার নুরুল ইসলাম (২৩), লাইট হাউজ পাড়ার মো. সেকান্দার (২৮), পাহাড়তলীর মঞ্জুর আলম (২১), টেকপাড়ার বেলাল উদ্দিন আরাফাত (২৩), বাদশাঘোনার ইয়াকুব আলী (২৫), ইয়াকুব আলী (২২), হৃদয়ের নিশান (২০), মো. শরিফ (২১), চৌফলদন্ডী পশ্চিমপাড়ার জাহেদ হোসেন (২৫), কলাতলী আদর্শগ্রামের রফিকা বেগম (৩৫), তোতকখালীর মো. হাসান (১৯), বইল্লাপাড়ার ইমরান (২৪), মোহাম্মদ বাবু (১৯), সমিতিপাড়ার জাফর (২১), মো. ইউসুফ (৩৩), জেলগেট পশ্চিমপাড়ার মো. ইয়াছিন আরাফাত (২১), ঈদগাঁও এর মো. ইসমাইল (২২), কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ (১৯), আব্দুল্লাহ (২২), কক্সবাজার পৌরসভার মো. সোহেল (২১), রুমালিয়ারছড়ার মো. আবু নাছের (১৯), তেতুইয়া সমিতিপাড়ার মো. সাইফুল ইসলাম (২৩), দরিয়ানগরের মোহাম্মদ সাজু (২০), বৈদ্দ্যঘোনার মো. ফাহিম (১৯), ঝিলংজা চন্দ্রিমা মাঠের মো. ইসমাইল (২১), চন্দনাইশের রানা ধর (২২), লাইটহাউজপাড়ার মোহাম্মদ হোসেন (২১), বাঁশখালীর মোহাম্মদ সরোয়ার কামাল (১৯), ঝিলংজা বাংলাবাজারের মো. তৌহিদুল আরম প্রকাশ তুহিন (২৮), মো. কায়ছার আলম প্রকাশ সাকিব (২৪)।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যেই হোক আইনের আওতায় আসতে হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন কোন ষড়যন্ত্রকে তোয়াক্কা করে না এবং কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় কোন অপরাধ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে সকল অবৈধ তদবিরকারীদের নাম প্রকাশ করা হবে। যারা অপরাধীদের মদদদাতা, উস্কানিতে জড়িত এবং অপরাধের মূলহোতা তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *