কক্সবাজারচট্টগ্রাম

কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৭

কক্সবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বুধবার মধ্যরাতে নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ভাদিতলা এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার কুলিয়াপাড়ায় পৃথক এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, বুধবার মধ্যরাতে ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকায় জনৈক রাইটার মিজানের চিকনপাতা গাছের বাগানে কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে খবরে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। সেখানে র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রসহ ১০-১৫ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও বাকিরা পালিয়ে যান।

তাদের কাছে পাওয়া যায়- দুটি কিরিচ দা, একটি লোহার রড, একটি লাঠি, দুটি টর্চ লাইট, এক টুকরো লম্বা রশি, ৯টি মোবাইল ফোন ও তিন হাজারের বেশি নগদ টাকা।

গ্রেপ্তাররা কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন, আসিফুর রহমান আসিফ (২১), মো. আব্দুল জলিল ওরফে কায়সার (২২), আব্দুল্লাহ আলম মুহিম (২৩), মো. নাহিম (২১), সাজ্জাদ মিয়া (২১), শাহরিয়াজ ওসমান হৃদয় (২০), মো. ইসমাইল উদ্দিন ওরফে গুরা মিয়া (২০), আব্দুল মালেক ওরফে মালেক (২৪) ও মো. পারভেজ (২৩)।

এদিকে বুধবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পৃথক আরেকটি অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আট ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরের পর্যটন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কতিপয় লোকজন সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় জড়ো হয়েছেন বলে খবর পায় র‍্যাব। র‍্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতদলের সদস্যরা দিগ্বিদিক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালান। এ সময় আটজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন র‍্যাব সদস্যরা।

তাদের কাছে পাওয়া যায়- একটি রামদা, তিনটি ছোরা, একটি কুড়াল, একটি লোহার পাইপ, একটি কাঠের লাঠি ও একটি টর্চ লাইট।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তাররা সবাই সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান মো. আবু সালাম চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *