কক্সবাজারে পাহাড় কাটার উৎসব
কক্সবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে একটি কুচক্রী মহল। শ্রমিক দিয়ে দিন-রাত সরকারি পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করছেন তারা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ ডিক্কুলের তিন ভাই সোনামিয়া, জয়নাল ও জাহাঙ্গীর এবং তাদের ভগ্নীপতি জাকারিয়ার নেতৃত্বে চলছে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির উৎসব।
স্থানীয়রা জানান, এই চারজন দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছেন। পাহাড় কাটার ফলে বৃষ্টির পানি অনেকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এছাড়া, পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পাহাড় কাটায় জড়িতদের পাওয়া না গেলেও অভিযুক্ত জয়নালের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, পাহাড় কাটা হয়েছে এটি সত্য। তবে বোনের বিয়ের খরচ ও মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগানোর জন্য পাহাড়গুলো কেটে জমি বিক্রির জন্য সমতল করা হয়েছিল। আর পাহাড় কাটব না।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এখন পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীরব ভূমিকার কারণে পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছ। পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কক্সবাজারের পরিবেশ সুরক্ষা হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকায় পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। কারা জড়িত তা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।