কক্সবাজারচট্টগ্রাম

কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারীর তদন্ত শুরু

কক্সবাজার: ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বিরতিহীন একমাত্র ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এর টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে আদালতের দায়ের করা স্ব-প্রণোদিত মামলা তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব)। কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে গিয়ে সরেজমিন প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

তদন্তের নেতৃত্ব দেয়া কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বলেন, ট্রেনটি এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নিয়ে খেলছে কালোবাজারির দল। তারা সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছেন। যারাই জড়িত থাকুক তাদের সম্পৃক্ততার তথ্যসহ আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু কালোবাজারি নয়; রেল লাইনে যে নাশকতা চলছে তার প্রভাব এখনও কক্সবাজারে পড়েনি। আমরা সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো নজরদারিতে রেখেছি। স্টেশনের যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো।

আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান আবু সালাম চৌধুরী। গত ১৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা কালোবাজারি দমনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে- একটি সিন্ডিকেট টিকিট বাগিয়ে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। যা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আমলযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে র‌্যাব-১৫কে তদন্তের নির্দেশ দেন। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কিনা তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে। প্রথম দিন থেকেই এই ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়া যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিটের জন্য দেড় থেকে দুইশ টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *