কতজন জিম্মি জীবিত আছে কারও ধারণা নেই: হামাস
গাজায় দীর্ঘস্থায়ী ও রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটাতে যেকোনো চুক্তির জন্য সেখানে অবশিষ্ট ১২০ জিম্মির জীবিত থাকা এবং তাদের ইসরায়েলে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, জিম্মিদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন সে সম্পর্কে ‘কারও কোনও ধারণা নেই’। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র ও রাজনৈতিক বিভাগের সদস্য ওসামা হামদান স্থগিত হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অবস্থান জানান। পাশাপাশি গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির কারণ হয়ে ওঠা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনার জন্য হামাস অনুতপ্ত কিনা, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন হামদান। খবর বিডিনিউজের।
চলতি সপ্তাহে গাজায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া শিনওয়ারের ফাঁস হওয়া একটি বার্তা নিয়েও কথা বলেছেন হামদান। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, যুদ্ধবিরতির আলোচনার চাবিকাঠি এখন হামাসের হাতে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার এনবিসিকে বলেন, এই দরাদরি বন্ধ করতে হবে। শিনওয়ার প্রসঙ্গে ব্লিংকেন বলেন, তিনি মাটির নিচে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, তিনি যে জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান, তারা প্রতিদিন কষ্ট পাচ্ছেন।
সিএনএনকে হামদান বলেছেন, আলোচনার টেবিলে সর্বশেষ প্রস্তাব হচ্ছে একটি ইসরায়েলি পরিকল্পনা, যা গত মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। এটি যুদ্ধ বন্ধে তাদের দাবির সঙ্গে মেলে না। হামাসের যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়া, গাজা থেকে সম্পূর্ণ (ইসরায়েলি সেনা) প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদেরকে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে একটি স্পষ্ট অবস্থান দরকার। পুনর্গঠন, অবরোধ (প্রত্যাহার) এবং আমরা বন্দি বিনিময় সম্পর্কে একটি ন্যায্য চুক্তি সম্পর্কে কথা বলতে প্রস্তুত।