চট্টগ্রাম

কমিশন এজেন্টস প্রথা বন্ধের দাবি

ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকবে, এটা স্বাভাবিক প্রথা। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝখানে কমিশন এজেন্টস নামে একটি মধ্যস্বত্তভোগী লাভের বড় অংশ নিয়ে যাচ্ছে। কমিশন এজেন্টস, ডিও/স্লিপ প্রথার কারণে চক্রটি বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। একটা সময় আমদানিকৃত পেয়াঁজ নিয়ে চক্রটি সক্রিয় হলেও বর্তমানে অনেক পণ্যে তারা সক্রিয়। মধ্যস্বত্তভোগীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বাজার তদারকিতে গেলে একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেরা সাধু সাজার চেষ্টা করছেন। আর ক্রয়-বিক্রয় রশিদ ছাড়া শুধুমাত্র একটি চালানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কারসাজির পেছনে এই অদৃশ্য ব্যবসা অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। গতকাল রিয়াজউদ্দিন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে বাজারভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের বাজারে কমিশন এজেন্টস ও স্লিপ ব্যবসার নামে দেশকে অস্থির করে তুলেছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অন্যতম কারণ মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবসা। এটা অনেকটা চাঁদাবাজির মতো। অনতিবিলম্বে এ ধরনের ফটকা ব্যবসা বন্ধ না হলে ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফেরানো কঠিন হবে।

ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা ১৬ বছর বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপণ্য ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও রাজনৈতিক পরিচয়ে বেপরোয়া হয়ে জনগণের পকেট কেটেছেন। অনেক জায়গায় ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি, আমদানিকারক ও করপোরেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনাসহ নানা অজুহাত দিয়ে অতিমুনাফা করেছেন। বিগত সরকারের আমলে একটি সুবিধাভোগী চক্র গড়ে উঠেছে। যারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট করে দেশের মানুষের পকেট কেটে বিদেশে পাচার করেছেন।

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের নেতৃত্বে এ তদারকি অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্যাহ, জেলার সহকারী পরিচালক নাসরীন আক্তান, সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ অংশ নেন। এছাড়াও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সাবেক সভাপতি ইলিয়াছ ভুইয়া, রিয়াজউদ্দিন বাজার কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক, বণিক কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *