কর্ণফুলীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা নারীর শ্লীলতাহানি
জেলা থেকে উপজেলা কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ মানুষ। আর এই সব হামলায় উপজেলা গুলো তে বেড়েছে আহত ও মৃতের সংখ্যা।
এ যেমন গত ২৯ এপ্রিল রাতে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় একটি গ্যারেজে রিকশার চাকা চুরি নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাং লিডার অভিযুক্ত বাবুল ক্ষুদ্ধ হয়ে মা-ছেলেসহ তিন জনকে রাম দা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্যাংয়ের ১৭ সদস্য মিলে আহত করে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিকলবাহা ইউনিয়েনের মৃত এরশাদ আহামদের ছেলে মোহাম্মদ সুমন (২১) ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ (১৮) এবং তাঁদের মা ছকিনা বেগম (৪৫)।
আজ (২রা মে) বৃহস্পতিবার সকালে বসতবাড়িতে প্রবেশ করে মারধর, চুরিসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে আহত ছকিনা বেগম (৫৪) কর্ণফুলী থানায় মামলা আবেদন করেন।
এতে প্রধান আসামি করা হয় শিকলবাহা গোদারপাড়ার মৃত সোবহান সওদাগরের ছেলে মো. বাবলু (২৮) সহ মোট ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরো ৮ থেকে ১০ জনকে।
বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-শিকলবাহা টুন্ডা গোষ্ঠির নুরুল আমিনের ছেলে মো. মুরাদ (১৯), শিকলবাহা নতুন পাড়ার মনির আহাম্মদের ছেলে মো. সানী (১৯), শিকলবাহা আজাদ মেম্বার বাড়ির মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (১৮), টুন্ডা গোষ্ঠির নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মোহাম্মদ নয়ন (২০), শিকলবাহা গোদারপাড়ার মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রিয়াদ (২০) ও একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মাহি (১৮)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন বলেন, ‘মামলা রেকর্ডের পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে নিয়োগের পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে এলাকায় অবস্থান করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অইনের আওতায় আনতে পারব।’
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ‘মোটর রিকশার গ্যারেজে মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।’