বিনোদন

কলম্বিয়ায় শাকিরার ভাস্কর্যটি নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়াল

ব্রোঞ্জের তৈরি ২১ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটি শাকিরার জন্মস্থান ব্যারানকুইলাতে স্থাপন করা হয়েছে। শিল্পী ইয়িনো মার্কেস এটি তৈরি করেছেন। ভাস্কর্যটিতে পপ তারকার ২০০৫ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত মিউজিক ভিডিও ‘হিপস ডোন্ট লাই’ এর নাচের একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

 নিজের ইন্সটাগ্রাম পোস্টে এই সম্পর্কিত পোস্ট করেছেন।কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরাকে সম্মান প্রদর্শনে তার নিজ দেশেই একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) ৪৬ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী

ব্রোঞ্জের তৈরি ২১ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটি শাকিরার জন্মস্থান ব্যারানকুইলাতে স্থাপন করা হয়েছে। শিল্পী ইয়িনো মার্কেস এটি তৈরি করেছেন। ভাস্কর্যটিতে পপ তারকার ২০০৫ সালে প্রকাশিত বিখ্যাত মিউজিক ভিডিও ‘হিপস ডোন্ট লাই’ এর নাচের একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

শাকিরার পোস্টে ভাস্কর্যটির ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে একটি ছবিতে স্থাপনাটির সামনে তার বাবা ও মা-কে ছবি তুলতে দেখা যায়।

ঐ ছবির ক্যাপশনে শাকিরা লিখেন, ‘ভাস্কর্যটির পাশে আমার পিতা-মাতাকে দেখে আমি বেশ আনন্দিত। বিশেষ করে আমার মায়ের জন্য, কেননা এটা তার জন্মদিন।’ অন্য আরেকটি ছবিতে শাকিরার বাবা-মা ছাড়াও তার ভাই ও ব্যারানকুইলার মেয়রকে ভাস্কর্যটির সামনে কথোপকথন করতে দেখা যায়।

ভাস্কর্যটি সম্পর্কে শাকিরা বলেন, “আমার এ ছোট হৃদয়ের জন্য এটি বিশাল প্রাপ্তি।” এছাড়াও উত্সর্গকৃত ফলকে শাকিরার জীবন সম্পর্কে বিশদ বিবরণ এবং সংগীতজগতে তার অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

শাকিরা সম্পর্কে উৎসর্গে লেখা হয় যে, “একটি হৃদয় যা সৃষ্টি করে, হিপস ডোন্ট লাই, একটি অতুলনীয় প্রতিভা, একটি কণ্ঠ যা জনসাধারণকে নাড়া দেয় এবং খালি পায়ে শৈশব ও মানবতার কল্যাণে অগ্রসর হয়।”

নতুন এ ভাস্কর্য উন্মোচন উপলক্ষে স্পটিফাই ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিকে শাকিরার জন্য উৎসর্গ করেছে। বিখ্যাত মিউজিক প্ল্যাটফর্মটিতে ল্যাটিন নারী সংগীতশিল্পী হিসেবে তার গানই সবচেয়ে বেশি স্ট্রিমিং হয়েছে।

এর আগে অবশ্য কলম্বিয়ান ফ্যানবেজের পক্ষ থেকে ‘শাকিরা ডিজার্ভ আ ডে’ হ্যাশট্যাগে একটি ক্যাম্পেইন চালু করা হয়। সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন তোলে।

স্পটিফাইতে এক সাক্ষাৎকারে শাকিরা বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে আমার ভক্তরা যে ভূমিকা পালন করেছেন সেটা প্রকাশ করা অসম্ভব। তারা জানে যে, কীভাবে আমাকে ভালোভাবে বুঝতে হয়। তাদের দৃঢ় সমর্থনে আজ আমি এখানে এসেছি।’

শাকিরা মনে করেন, তার জন্মভূমি সবসময়ই ক্যারিয়ারে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এই অনুপ্রেরণাকে ‘অপরিমাপযোগ্য’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘কলম্বিয়া অনুপ্রেরণার একটি অন্তহীন উত্স। সেটা বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি, শব্দ, গল্প, লোককাহিনী, খাবার ইত্যাদির জন্য। এটি একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। আমি এখানে বেড়ে উঠতে পেরে বেশ কৃতজ্ঞ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *