কলেরায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যু বেড়েছে ৭১ শতাংশ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২০২৩ সালের বৈশ্বিক কলেরার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ শতাংশ বেশি ছিল। এছাড়া কলেরায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, গত বছর চার হাজারেরও বেশি মানুষ এমন একটি রোগে মারা গেছেন, যা প্রতিরোধযোগ্য এবং সহজে চিকিৎসাযোগ্য।
২০২৩ সালের কলেরা পরিস্থিতি নিয়ে ডব্লিউএইচও’র কাছে নিজেদের তথ্য দিয়েছে ৪৫টি রাষ্ট্র। সেসব তথ্যের ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে ডব্লিউএইচও। দেশগুলোর কলেরা রোগীর তথ্যে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন বলছে, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অপর্যাপ্ত নিরাপদ পানি ও পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, দারিদ্র্য, অনুন্নয়ন, বাস্তুচ্যুতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ গত বছর কলেরার প্রাদুর্ভাবের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কলেরার ভৌগলিক বন্টন উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। গত বছর আফ্রিকার দেশগুলোতে কলেরা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা হিসেবে ১২৫ শতাংশ। একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে ৩২ শতাংশ।
গত বছর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালাউই, সোমালিয়া, হাইতি, মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়েসহ মোট ২২টি দেশে মহামারি আকারে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন পর্যন্ত এই পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে।
কলেরা প্রতিরোধের জন্য টিকা রয়েছে, তবে বিশ্বের মাত্র একটি কোম্পানি সেই টিকা উৎপাদন করে। ফলে একদিকে এই টিকার দাম যেমন বেশি, তেমনি যোগানও অপ্রতুল। তাই টিকার ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য কোম্পানিকেও এ খাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।