স্বাস্থ্য

কাঁঠালের বিচির জাদুকরী উপকারিতা

অনেকেই কাঁঠালের বিচি ভেজে, ভর্তা করে বা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করে খেতে পছন্দ করেন। জানেন তো, কাঁঠালের বিচির উপকারিতা কিন্তু অনেক।

এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। খেতেও সুস্বাদু। প্রতি ১শ গ্রাম বিচি থেকে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট ৩৮ দশমিক ৪ গ্রাম, প্রোটিন ৬ দশমিক ৬ গ্রাম, ফাইবার ১ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম শূন্য দশমিক ৫ থেকে শূন্য দশমিক ৫৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস শূন্য দশমিক ১৩ থেকে শূন্য দশমিক ২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ দশমিক ২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম ও পটাসিয়াম ৪ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম রয়েছে। যেসব উপকারিতা মিলবে কাঁঠালের বিচি খেলে, আসুন জেনে নিই:

কাঁঠালের বিচি আয়রনের একটি বড় উৎস। নিয়মিত এটি খেলে রক্তস্বল্পতা ও অন্যান্য রক্তরোগের ঝুঁকি দূর হয়। এছাড়া আয়রন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।

হেলথলাইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে বলা হচ্ছে, কাঁঠালের বিচিতে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান রয়েছে। এর উপরিভাগ ছোট ছোট কণা দ্বারা আবৃত থাকে যা ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

ফাইবার ও রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চসমৃদ্ধ কাঁঠালের বিচি খেলে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণ করা সহজ হয়। এরা শরীরে সহজে হজম হয় না। কিন্তু অন্ত্রে থাকা উপকারী

ব্যাকটেরিয়াদের খাদ্য হিসেবে কাজ করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় কাঁঠালের বিচি।

স্টাইলক্রেজ ওয়েবসাইট বলছে, কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে পারে। এতে * *অকাল বার্ধক্য ও বলিরেখা থেকে দূরে থাকা যায়। ঠান্ডা দুধে কাঁঠালের বিচি পিষে ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান থাকে।

কাঁঠালের বিচি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়।

কাঁঠালের বিচিতে থাকা উচ্চ মানের প্রোটিন আমাদের পেশি তৈরিতে সাহায্য করে।

কাঁঠালের বিচি বদহজম রোধ করে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে আসে।

কাঁঠালের বিচি প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ যা মানসিক চাপ কমায়।

বলিরেখা দূর ও ত্বকের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে কাঁঠালের বিচিতে। চোখের জন্য উপকারি ও রাতকানা রোগ কাটাতেও সাহায্য করে।

চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমে।

*নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়বে। এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতাও দূর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *