খেলা

কার্তিককে স্মরণ করলেন ভিরাট

একটা সময়ে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন ভিরাট কোহলি। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেননা ভুলটা কোথায় হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছিল মাঠের পারফরম্যান্সেও। ভক্তদের দুয়োধ্বনিও শুনতে হয়েছেে এই তারকা ব্যাটারকে। যখন হতাশার সাগরে ডুবে যাচ্ছিলেন ভিরাট, ঠিক তখনই ছায়ার মত পাশে এসে দাড়ান তারই এক সতীর্থ দিনেশ কার্তিক। অনুপ্রাণিত করেন কোহলিকে। জং ধরা তলোয়ারে সান দেয়ার দেয়ার কাজটা নাকি করেছিলেন ডিকে। খবর, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সদ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন দিনেশ কার্তিক। তবে আইপিএলের চলতি আসরে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে জাতীয় দলের খেলার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। তাইতো অবসর নেওয়া সতীর্থকে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও জানান কোহলি।

কার্তিকের সাথে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিয়ে ভিরাট বলেন, মাঠের বাইরে কার্তিকের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। ২০২২ সালের আইপিএলে ভাল খেলতে পারছিলাম না। একসময় আত্মবিশ্বাসও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। সেবার আমাকে নিয়ে দুদিন আলাদা করে বসেছিল কার্তিক। ঠান্ডা মাথায় ভাবার পরামর্শ দিয়েছিল। সুন্দর করে আমার খামতির জায়গাগুলো ধরিয়ে দিয়েছিল। যেগুলো আমি বুঝতে পারছিলাম না।

কার্তিকের স্মৃতিচারণ করে কোহলি আরও বলেন, খুব ভুল না করলে কার্তিকের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ২০০৯ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম আমরা। সেই সফরে আমরা ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করছিলাম। তখনই বুঝেছিলাম ডিকে খুব মজার ছেলে। মাঝে মাঝে অতি সক্রিয়। কিছুটা বিভ্রান্তও। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা শান্ত হয়েছে শুধু।

উল্লেখ্য, বিরাট ক্যারিয়ারের ক্যানভাসে নিজ দেশের প্রিমিয়ার লিগে নিজেকে রাঙ্গাতে আবারও ব্যর্থ ভিরাট। ১৭ বছরেও নিজ দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্খিত আইপিএল শিরোপা। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের কমলা টুপিটা মাথায় পরেই বিদায় নিতে হয়েছে মাঠ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *