কালুরঘাট সেতুতে পণ্যবাহী নৌযানের ধাক্কা, ৩ নাবিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট সেতুতে একটি পণ্যবাহী নৌযানের (লাইটার জাহাজ) ধাক্কার ঘটনায় তিন নাবিককে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নগরীর কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরা হলেন- জাহাজে কর্মরত কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান (২৪), সুকানি ইয়ামিন মোল্লা (২১) ও গীজার শাহাদাত হোসেন (২১)।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩১ সালে কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। গত ১ আগস্ট সেতুটির বড় ধরনের সংস্কারকাজ শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই সংস্কারকাজ করছে।
বর্তমানে কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে তিন জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। ট্রেনগুলো হলো কক্সবাজার এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন।
এমন অবস্থায় গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে এমভি সমুদা-১ নামে লাইটারেজ জাহাজটি কালুরঘাট সেতুর মাঝ বরাবর ধাক্কা দিয়ে সেখানে আটকে যায়। জাহাজটি মেসার্স রোকনুর মেরিটাইম লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।
এ ঘটনায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদি হয়ে চট্টগ্রামের জিআরপি থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গীজারম্যানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা উল্লেখ করা হয়েছে, খালি জাহাজটি বেপোরোয়া গাতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রিজের ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে।
মামলা দায়েরের আগেই জাহাজটি জব্দ করে নৌ পুলিশ। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার এবং ১১ মিটার প্রস্থ।