রাজনীতি

কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন: শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের সমালোচকদের নানা কথার জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে অধিবেশনে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরতে চাই। কারণ, এতক্ষণ শুনলাম কিছুই করি নাই। একটা গোষ্ঠী আছেই ‘কিছু ভালো লাগে না’। তাদের জানার জন্য বলার দরকার।

দেশে কিছু আঁতেল আছেন তারা সবকিছুতেই সমালোচনা করেন। ঋণ খেলাপি নিয়ে অনেক কথা, মন্দ ঋণ নিয়ে অনেক কথা। ২০০৯ সালে জিডিপির আকার ছিল ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ হাজার কোটি টাকা। মন্দ ঋণ ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সরকার প্রধান বলেন, ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। মন্দ ঋণের হার হচ্ছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এটা কিন্তু হ্রাস পেয়েছে। সেটাকে বলার সময় উল্টো টাকার অংক বলে কিন্তু শতাংশ বলা হয় না। সেখানে শুভংকের ফাঁকি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এইভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। এইভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা এটা করে তা খুবই দুঃখজনক।

সাধারণ আলোচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি না দেওয়ার পক্ষে সরকারের অবস্থান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ খাতে কেন ভর্তুকি দেব? উৎপাদনের খরচটা দিতে হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। জ্বালানি তেল যাতে মজুদ থাকে সেই ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। এ বছর জ্বালানি উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, ধীরে ধীরে এটি কমাতে হবে। এ খাতে আমরা কেন ভর্তুকি দেব? বেশি বেশি এয়ার কন্ডিশন, ফ্রিজ, টেলিভিশন, লিফট চলার জন্য দেব? তা তো দেব না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যেটা করার দরকার আমরা সেটা করবো। যে যত বেশি ব্যবহার করবে তাকে উৎপাদনের খরচ অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু আমরা হঠাৎ করে এটা করছি না। ধীরে ধীরে সহনশীল করে এটা করা হচ্ছে। মানুষ যাতে বিদ্যুৎ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবস্থা পায় ইন্ডাস্ট্রি চালানোর জন্য সেই ব্যবস্থাও আমরা করছি। এখন তো সব জায়গায় ভর্তুকি। এলএনজিতেও আমরা ভর্তুকি দিই। ভবিষ্যতে এটি দেওয়া হবে না।

গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে গুলশান-বনানী-বারিধারাসহ বিত্তশালীদের এলাকায় লোডশেডিং দিতে নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি বলে দিয়েছি গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা, এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে হবে; এখন এয়ার কন্ডিশন গাড়ি-বাড়িতে, লিফট ইত্যাদি আরাম-আয়েশটা এটা যে আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং ওইসব বিত্তশালীদের দিতে হবে। এই ব্যবস্থাটাই করবো আমরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *