খেলা

কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএল শুরু ঢাকার

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে উড়িয়ে বিপিএলের দশম আসর শুরু করলো দুর্দান্ত ঢাকা। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুর্দান্ত ঢাকা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে দুর্দান্ত ঢাকা।

কুমিল্লার দেওয়া মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ঢাকা। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মোহাম্মদ নাঈম ও দানুস্কা গুনাথিলাকা। শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হন এ দুই ব্যাটার।

ম্যাচের ১৩তম ওভারে ১ রানে নিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন নাঈম। ফিফটির ইনিংস অবশ্য লম্বা করতে পারেননি। ওভারের চতুর্থ বলে তানভীরকে উড়ে মারতে গিয়ে ফোর্ডের তালুবন্দী হন এ ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ৫২ করেন তিনি।

ফিফটির পথে থাকা গুনাথিলাকাও (৪১) সাজঘরের পথ ধরেন। বাইশ গজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন লাসিথ ক্রসপুল্লেও। ৮ বল স্ট্রাইক নিলেও ৫ রানেই থামেন এ লংকান ব্যাটার।

নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান (৭) ও ইরফান শুক্কুর (২৪)। এ দুই ব্যাটারের বিদায়ে জমে ওঠে দুদলের লড়াই। এতে ম্যাচটি গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত।

তবে স্নায়ুচাপ সামলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। এদিন কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা।

তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে শ্রীলংকান এ স্পিনারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নাঈমের তালুবন্দী হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১৩ করেন তিনি।

এরপর উইকেটে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তার সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন কায়েস। একইসঙ্গে আসরের প্রথম ফিফটি নিজের দখলে নিয়েছেন কুমিল্লার বাঁ-হাতি এ ওপেনার।

ব্যাট হাতে ভালো শুরুর পরও ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন হৃদয়। ম্যাচের ১৮তম ওভারের শরিফুলের বলটি বাউন্ডারি ছাড়া করতে গিয়ে ডি সিলভার তালুবন্দী হন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৭ করেন তিনি।

পরে বাইশ গজে আসেন খুশদিল শাহ। তাকে সঙ্গ দেওয়ার আগেই কায়েসকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ৬৬ করেনি এ বাঁ-হাতি। শেষ মুহূর্তে খুশদিল শাহর ক্যামিওতে ১৪৫ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।

ইনিংসের শেষ ওভারে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন শরিফুল ইসলাম। ওভারের শেষ তিন বলে খুশদিল শাহ, রস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলামের উইকেট তুলে নেন এ বাঁ-হাতি পেসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *