কুরআনের নূর ক্ষুদে হাফেজদের অডিশন শুরু চট্টগ্রামে
চট্টগ্রাম: দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘কুরআনের নূর’ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চট্টগ্রাম পর্বের অডিশন শুরু হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্বরোডের পূরব বাকলিয়া (হাফেজ নগর) নেয়ামত নূর জামে মসজিদ ও ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বসেছে ক্ষুদে কুরআনের পাখিদের প্রাণের মেলা।সকাল আটটায় রেজিস্ট্রেশন বুথে নিবন্ধন করে পটিয়া রিয়াজুল উলুম বালক বালিকা মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন (১১)।
হাফেজ ইয়াসিন আরাফাত তাকে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ৩০ পারা মুখস্থ করতে শাহাদাতের সময় লাগে ৬ মাস ২৪ দিন। এ প্রতিযোগিতার কারণে কোরআনের পাখি খ্যাত হাফেজ, তাদের ওস্তাদ, মা বাবাকে সম্মানিত করছে।দারুল হক তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার ছাত্র মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাহিদ (১১)। রেজিস্ট্রেশন করে সহপাঠীদের সঙ্গে অডিশনের অপেক্ষায় থাকা নাহিদ জানায়, আজ খুব খুশি লাগছে দেশের সবচেয়ে বড় হাফেজদের প্রতিযোগিতায় অডিশন দিতে পারছি।
সাকেরা বেগম হেফজখানার শিক্ষক হাফেজ ইমাম উদ্দিন নিয়ে আসেন ১২ বর বয়সী হাফেজ জাহেদুল ইসলামকে। তিনি বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে আমরা সাতকানিয়া থেকে রওনা দিয়েছে। সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপ প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। হাফেজরা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
চারটি বুথে সুশৃঙ্খল লাইনে দাঁড়িয়ে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিযোগীরা। তাদের গলায় কার্ড ও ব্যাজ পরিয়ে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা। এরপর চারটি বুথে শুরু হয় অডিশন। প্রতি বুথে দুইজন করে অভিজ্ঞ হাফেজ বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।কুরআন মুখস্থ, তাজবিদের অনুসরণ, কণ্ঠের মাধুর্য- এ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই ইয়েস কার্ডের জন্য নির্বাচন করেছেন বিচারকরা।
চট্টগ্রাম পর্বের সমন্বয়ক এইচএম জামাল উদ্দিন তাওহীদ জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির প্রতিযোগীরা অংশ নিচ্ছে। এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার দুই লাখ টাকা করে এবং সম্মাননা। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে এক লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের আট বিজয়ী, তাদের পরিবার ও ওস্তাদকে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠানো হবে।
আরো পড়ুনঃ চমেক ও ওজিএসবি উদ্যোগে সাইন্টিফিক সেমিনার