দেশজুড়ে

কৃষকদের আশ্রয়ঘর ও ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিল মুখোশধারীরা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরে সশস্ত্র মুখোশধারীরা আগুন লাগিয়ে ট্রাক্টর ও কৃষকদের আশ্রয়ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।

গত সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা নবীগঞ্জ বাজারের অদূরে চর কাঁকড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় চারজন কৃষকের হাত বেঁধে পিটিয়ে আহত ও ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় মুখোশধারীরা। এতে প্রায় ২৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে চর কাঁকড়ার ভূমিহীন কৃষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে মোবাইল ফোনে কল করে সাহায্য চাইলে স্থানীয়রা গিয়ে আহত কৃষকদের উদ্ধার করে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

উদ্ধার হওয়া কৃষকরা হলেন- চর লরেন্স এলাকার আবদুল মজিদ মজু মাঝি, সিদ্দিক উল্লাহ নুরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান ও মো. মোস্তফা।

কৃষকরা জানান, ঘটনার সময় দুটি বড় নৌকায় প্রায় ৫০ জন মুখোশধারী সশস্ত্র যুবক এসে তাদের পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তিনজনকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে মুখোশধারীরা। তবে কৃষক মজিদ মাঝি কৌশলে পালিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে মুখোশধারীরা কৃষকদের আশ্রয় ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় একটি বড় ট্যাফে ট্রাক্টরেও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সারা রাত তিনজন কৃষক রশিতে বাঁধা ছিল। আর মজিদ নদীতে ছিলেন। ভোরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি অন্যদের হাতের রশি খুলে এলাকায় খবর দেন।

চর কাঁকড়া ভূমিহীন কৃষক সমিতির সভাপতি আহসান উল্লাহ হিরণ জানায়, নদীর ভাঙনে চাষাবাদের জমিসহ ভিটেমাটি হারানো স্থানীয় ৪০০ কৃষক চর কাঁকড়ায় ২০২৩ সালে চাষাবাদ শুরু করেন। গেল বছর ধান ও চলতি মৌসুমে সয়াবিন চাষ করা হয়। ওই চরে কৃষকদের কয়েকটি আশ্রয়ঘর রয়েছে। সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা কৃষকদের একটি আশ্রয়ঘর ও একটি নতুন ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় ২৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *