চট্টগ্রাম

কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কমেছে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার খবরে দেশের এই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন দিন আগে ভারত থেকে আমদানি হওয়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এখন একই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। এতে কেজিতে দাম কমেছে ৪৫ থকে ৫০ টাকা। চীন থেকে আমদানি করা বড় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে।

কিন্তু তিন দিন আগে একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এতে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দাম কমেছে। পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আসা দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। কিন্তু তিন দিন আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। কমেছে ১৫ টাকা। খাতুনগঞ্জের মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের কর্ণধার রনি বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর ভারত থেকে আগের এলসি করা পেঁয়াজ আড়তে এসেছে। তবে সেটা চাহিদার তুলনায় কম ছিল। কিন্তু তখন দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল পর্যাপ্ত। এ ছাড়া সমুদ্রপথে পাকিস্তান ও চীন থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সেগুলোও বাজারে আছে। এখন পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ আড়তগুলোতে আছে। কিন্তু বিক্রি কমে গেছে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম তেমন একটা কমছে না। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমছে। এ ছাড়া বাজারে ক্রেতার সংকট রয়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা আগে যেখানে দুই-তিন টন পেঁয়াজ কিনতেন, এখন তারা এক টনের বেশি কিনছেন না। এর ওপর ভারত সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার খবর শুনছি। তাই ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে দাম কমিয়ে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *