রাজনীতি

কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ : সাকিব

আজ সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রতীক পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাকিব জানিয়েছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্রে বেশিসংখ্যক ভোটার উপস্থিত করাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।

সদর উপজেলার একাংশ ও শ্রীপুর নিয়ে গঠিত মাগুরা–১ আসনে সাকিব আল হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন চারজন। তাঁরা হচ্ছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) কে এম মোতাসিম বিল্লা এবং তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায়।

স্থানীয় রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা বলছেন, তাঁদের কেউই আওয়ামী লীগ বা সাকিব আল হাসানের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নন। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য তিনটি দলই সাধারণ ভোটারের কাছে নতুন। তা ছাড়া এসব দল থেকে যাঁরা প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁরাও তেমন একটা জনপ্রিয় নন।

সাকিব অবশ্য তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের যোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছেন। আজ মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে চারজন প্রার্থী আছেন। তাঁরা সবাই যোগ্য। ভোটাররা যাঁকে পছন্দ করবেন, তাঁরই নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে এখানে। আমাদের সবারই চেষ্টা থাকবে, যাতে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি। একই সঙ্গে চেষ্টা থাকবে, যত বেশি ভোটার আনা যায়। কারণ, নিকট অতীতের নির্বাচনগুলোতে হয়তো ওই রকম ভোটার টার্নআউট হয়নি। এর ফলে এবার এটাই বড় চ্যালেঞ্জ যে আমরা কত ভোটারের আগ্রহ জোগাতে পারি।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘মাগুরা থেকে আমি এত কিছু পেয়েছি, আর তো পাওয়ার কিছু নেই। আমি যদি এখন কিছু দিতে পারি, এটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করব, আমার জায়গা থেকে কাজ করার, যদি সুযোগ পাই। সবাই আমাকে সেই সুযোগটা দিলে আমি চেষ্টা করব সর্বোচ্চ কাজ করার। সবার কথা শুনব, সবার পরামর্শ নিব। সব শুনে সমষ্টিগতভাবে পুরো মাগুরার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *