খাগড়াছড়িতে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান প্রদান করা হয়।
শুরুতে খাগড়াছড়ি জেলার ৪ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর । পরে পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুভূতি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা ব্যক্ত করেন ।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার বলেন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক যে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হয়, সেই অপারেশনের প্রথম লক্ষ্য ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করা। পাক বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঘিরে ফেলে তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রথম বুলেট নিক্ষিপ্ত হয় চামেলিবাগ পুলিশ ব্যারিকেড থেকে, যার ফলে নিহত হন দুইজন পাকিস্তানি সেনা। পুলিশদের অস্ত্র ও গোলা বারুদ ফুরিয়ে গেলে হানাদার বাহিনী তুমুল গতিতে আক্রমণ শুরু করে। পাকিস্তানি সেনারা সারারাত গুলি ও কামানের গোলা বর্ষণ করে বহু পুলিশ হত্যা করে। এখান থেকেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এসময় জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত মুক্তিযুদ্ধাদের শারীরিক ও পারিবারিক খোঁজখবর নেন এবং খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে আছেন এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম ছাড়াও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।