খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকার অনেক বাসিন্দা জানেন না ভোট কখন
খাগড়াছড়িতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতেও নেই নির্বাচনের আমেজ। সেখানে দেখা যায়নি কোনো প্রার্থীর পোস্টার। এখানকার অনেক বাসিন্দাই জানেন না, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খাগড়াছড়ি আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশেপ্রু মারমা, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা।
প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাড়া অন্য তিন প্রার্থীকে সদর উপজেলার বাইরে বাকি আটটি উপজেলায় প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি। এ তিন প্রার্থী এখন পর্যন্ত করেননি পথসভা ও মাইকিং। এমনকি তাঁদের পোস্টারও দেখা যায়নি।
পানছড়ি উপজেলার কাশিপাড়া, রোহিন্দ্রপাড়া, মরাটিলা, লতিবান, লোগাং, পুজগাং, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বিষ্ণু কার্বারিপাড়া, লম্বাছড়া, রেংহাজ্জ্যে, বাবুছড়া ইউনিয়নের নারাইছড়া, জামতলী, মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় শুকনোছড়ি, টুল্যাপাড়া, জুরমনিপাড়া, বিজি কিজিংসহ জেলার সব উপজেলার দুর্গম এলাকায় নির্বাচনের প্রচারণা নেই।
পানছড়ি বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাশিপাড়া ও রোহিন্দ্রপাড়া। দুই পাড়ায় সব মিলিয়ে ছোট ছোট সাত থেকে আটটি পাহাড়ে বসবাস করেন ৭৩টি পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার এই দুই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, কোথাও টাঙানো হয়নি কোনো পোস্টার। পাড়ার বেশির ভাগ নারী জানেন না নির্বাচনের কথা।
কাশিপাড়ার বাসিন্দা গৃহিণী শেফালি ত্রিপুরা, কমলিকা ত্রিপুরা ও পদ্মা দেবী ত্রিপুরা বলেন, তাঁদের পাড়ায় কেউ ভোট চাইতে এখন পর্যন্ত আসেননি। কতজন প্রার্থী, তাঁদের প্রতীক কী, তাঁরা কিছুই জানেন না। নির্বাচন কবে হবে, তা-ও জানা নেই। যেহেতু কেউ ভোট চাইতে আসেননি, তাই তাঁরা ভোট দিতেও যাবেন না।
তবে রোহিন্দ্রপাড়ার দেবপ্রিয় ত্রিপুরা গত সপ্তাহে পানছড়িতে এসে নির্বাচনের খবর জেনেছেন। বাজার এলাকায় দেখেছেন কিছু পোস্টার। লোকজনের মুখে শুনেছেন ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। তবে তিনি ভোট দিতে যাবেন না। তিনি বলেন, নির্বাচনে কেউ তাঁদের কাছে ভোট চাননি। তাঁদের কোনো গুরুত্ব নেই কারও কাছে। শুধু শুধু চার কিলোমিটার হেঁটে ভোট দিতে যাবেন না।