চট্টগ্রাম

গণপিটুনিতে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিক লাঞ্ছিত

চট্টগ্রামে এক যুবককে গণপিটুনির সময় বাধা দেওয়ায় সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার বর্ণনা দিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বুধবার তার ছোট বোনের পরীক্ষা ছিল। বোনকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে কলেজ গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন তিনি। এই সময় তিন-চারজন মিলে এক যুবককে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে মারধর করছিল। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান মামুন। ছেলেটি ‘ছাত্রলীগের কর্মী’ উল্লেখ করে সাংবাদিক মামুনের কাছে মারধরে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চায় তারা। এ সময় সংবাদকর্মী পরিচয় দিলে তাকে সরে যেতে বলে এবং ছেলেটিকে নিয়ে দেব পাহাড়ের দিকে নিয়ে চলে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর তারা ফিরে আসে এবং ‘ছাত্রলীগ’ কর্মীকে বাঁচাতে চাওয়ার কারণ জানতে চায়। এ সময় তার কলেজে আসার কারণও জানতে চাওয়া হয়। একপর্যায়ে ‘ছাত্রলীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি জানান, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও থামেনি তারা। সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং মুঠোফোন তল্লাশি করেন। এ সময় তার টি-শার্টের কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করা হয়। কয়েকজন এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।

এক শিক্ষার্থী বিষয়টি দেখে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন বলে জানান সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী এজিএম বাপ্পী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তাকে লাঞ্ছিত করার সময় এই ছাত্র সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং মারমুখী আচরণ করেন বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পেশাগত দায়িত্বপালনে গেলে আমার অফিস ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সহায়তা নিতাম। যেহেতু ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছি দেশের অন্য দশজন যেভাবে জুলুমের শিকার হচ্ছেন, আমিও তাই হয়েছি। তবে এই বিষয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *