জাতীয়

গণমাধ্যমে প্রচারিত তারিখে নির্বাচন নয়!

নির্বাচন হবে ৩ জানুয়ারি গণমাধ্যমে এমন শিরোনাম হয়েছে।নির্বাচনী ইতিহাস পর্যালোচনা করে, ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারও নির্বাচন হবে বলে প্রচার হয়েছে কোন কোন গণমাধ্যমে।

১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ঘোষণা হতে পারে তফশিল। তবে গণমাধ্যমে ভোটগ্রহণের যেসব সম্ভাব্য তারিখের কথা প্রচার হয়েছে, কমিশন সেসব তারিখ বাদ দেওয়ার পক্ষে। রবিবার এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।তফসিল ঘোষণার আগে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশে সতর্কতা অবলম্বন করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কারণে তফসিল নির্ধারণের জন্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশন সভা আহ্বান করা হয়নি।

যেদিন তফসিল ঘোষণা হবে, সেদিনই অনানুষ্ঠানিক সভায় মিলিত হয়ে কমিশনাররা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেন। এ ছাড়া এবার জাতির উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করে তা পরে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করার পরিবর্তে সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে গতকাল এই আলোচনা ছিল যে, গণমাধ্যমে ভোটগ্রহণের যেসব সম্ভাব্য তারিখের কথা প্রচার হয়েছে, কমিশন সেসব তারিখ বাদ দেওয়ার পক্ষে। কমিশন চায় না, তফসিলে নির্ধারিত তারিখগুলো আগেই প্রচার হয়ে যাক। কারণ এতে জনসাধারণের মধ্যে সিইসির ভাষণ শোনার আগ্রহে ভাটা পড়তে পারে। তফসিল ঘোষণা নিয়ে আনুষ্ঠানিক সভা হলে এবং ভাষণ আগে থেকে রেকর্ড করা হলে ওই তারিখগুলো প্রকাশ হয়ে যাবে বলে কমিশন এক্ষেত্রেও অনাগ্রহী। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতাকেও বিবেচনায় নিচ্ছে ইসি। অবশ্য ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমন ধারণাও করছেন যে, কমিশন আগামী ১৪ বা ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করতে পারে। প্রসঙ্গত, কমিশন গত শনিবারও জানিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা নিয়ে কমিশন সভা এখনও আহ্বান করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সভা না-ও হতে পারে।’ তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা-সংক্রান্ত সিইসির ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *