গোপালগঞ্জে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের পর আরও ১৯ আসামি কারাগারে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর এক সমর্থক গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক ও ওই মামলার ১৯ আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক।
বুধবার (০৩ জুন) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন। গোপালগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক সিরাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, ওসিকুর ভূঁইয়া হত্যা মামলার ১৯ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। বুধবার দুপুরে ওই আসামিরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত রোববার (৩০ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হাসানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে এ মামলায় ৫জন জেলহাজতে রয়েছেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ২৪ জন এখন জেলহাজতে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম জুলকদর রহমান বলেন, ওসিকুর ভূঁইয়া হত্যা মামলায় বুধবার ১৯ জন আসমি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশন দেন।
এরআগে, এ মামলার প্রধান আসমি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া জামিন চাইলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৮ মে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। এরপর গত ১৪ মে রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর সমর্থক ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বিজয়ী চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলের সমর্থকরা গুলিবর্ষণ করলে গুলিবিদ্ধ পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ওসিকুর ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।
এ ঘটনায় ১৬ মে রাতে নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।