চট্টগ্রাম

গ্রাম আদালত সক্রিয় করলে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, গ্রাম আদালত সক্রিয় করলে গ্রামে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহজে, কম খরচে, স্বল্প সময়ে, সঠিক বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে নগরের পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিম্ন ও উচ্চ আদালতে মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গ্রাম আদালতে প্রান্তিক মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বাস্তব পরিস্থিতি দেখে ন্যায়বিচার করতে হবে।

লুৎফুন নাহার বলেন, ফৌজদারি মামলা ৩০ দিনে ও দেওয়ানি মামলা ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সরকারি ছুটির দিনে মামলা পরিচালনা করা যাবে না। জেলার গ্রাম আদালতগুলোতে অনেক মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আদালতে মাসে কমপক্ষে ৫টি মামলা নিষ্পত্তিসহ নিবন্ধন করে জেলা কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে হবে। চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যরা আরও আন্তরিক হলে গ্রাম আদালতের সার্বিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।

সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে ২০২৩-২৪ কার্যক্রমের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জগুলো, শিক্ষণীয় দিক, গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়া, মামলার নথি প্রস্তুত ও রেজিস্টারসমূহের ব্যবহার এবং সুবিধাভোগীর ভিডিও উপস্থাপন করা হয়।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শাহীদ ইশরাকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরীন, ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজাহান হোসাইন, পটিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আনোয়ারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *