ঘন ঘন ঢেকুর ওঠা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ!
ঢেকুর তোলা একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। কিন্তু যখন তখন জোর শব্দে ঢেকুর তুললে খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাছাড়া এটা খুবই বাজে অভ্যাস বলে মনে করা হয়। অনেকে আবার টেনশনেও ঢেকুর তোলেন। কিন্তু অনবরত ঢেকুর তোলা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। লাগাতার ঢেকুর মরণব্যাধির লক্ষণ হতে পারে, এটা অনেকেই জানেন না।
ফ্লোরিডার একজন নার্স বেলি ম্যাকব্রিনের ঢেকুর কিছুতেই থামছিল না। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি কোলন ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায় রয়েছেন। ২৪ বছর বয়সী বেলির দিনে প্রায় ১০ বার করে ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এই ধরনের উপসর্গ আগে কখনো দেখেননি তিনি। মাসের পর মাস এই উপসর্গ দেখেও খুব বেশি গুরুত্ব দেননি বেলি।
বদহজম ও পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। যদিও ঢেকুরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই, তবে কোলন ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে পরিপাক ক্রিয়ায় গোলমাল হয়। গ্যাস হয়, সেই থেকেই ঘন ঘন ঢেকুর ওঠে। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গেলেই ঘরোয়া টোটকার ওপর ভরসা না করে এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
তলপেটে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যথা এই রোগের উপসর্গ হতে পারে। কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়, তাই রক্ত স্বল্পতা তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। রক্ত স্বল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি।
দিনে কত বার মলত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয়, আচমকা তার তারতম্য ঘটলে সেটি কোলন ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
মলের রং পরিবর্তন হলে, পেটে গ্যাসের সমস্যা কিছুতেই না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সারাক্ষণ বমি বমি ভাব, গা গুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।