ঘূর্ণিঝড় রিমালে সৈকতে হাজারো গাছ উপরে পড়েছে
সিডর, আয়লার মত বড় বড় ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূলের জনপদকে বুক পেতে দীর্ঘদিন যাবৎ রক্ষা করে আসছে সমুদ্রের পাড়ে সবুজ বেষ্টন। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করেছে কুয়াকাটাকে, তবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেলেও এর প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তা বয়ে বেড়াতে হবে বহুদিন। রিমাল শেষ করে দিয়েছে কুয়াকাটা সৈকতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার গাছ। যে গাছ উপকূলের মানুষের বন্ধু হয়ে সব ঝড় জলোচ্ছ্বাসে মায়ের মত বুক পেতে দিয়েছে রক্ষা করেছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। এলাকায় ছিল শতশত ঝাউগাছ, কড়াই, আকাশমনি, শালসহ বিভিন্ন রকম ঔষধীয় ও ফল ফুলের গাছ। পর্যটকরা এসে ছায়াতলে বসে সমুদ্রের গর্জন শোনা আর নির্মল বাতাসে বসে সমুদ্র নোনা জলের উত্তল ঢেউ উপভোগ করত। সেই জাতীয় উদ্যান সমুদ্রের মাঝে বিলীন হয়ে গেছে। গাছগুলো এবড়োখেবড়ো পড়ে আছে। জাতীয় উদ্যান থেকে শুরু করে গঙ্গামতি ও কাউয়ারচর পর্যন্ত সারি সারি গাছ সৈকতে পড়ে আছে।
দুর্যোগ আর বিপাকে বরাবরই উপকূলের ঢাল হিসেবে ছিল এসব বনের নানা গাছ গাছালি। সিডর, আইলা, ফনি, নার্গিস, মহাসেন, বুলবুল, আম্পান, মখা ও এবারের ঘূর্ণিঝড় রিমাল। সব সময় গাছগুলো মাথা রক্ষা করেছে উপকূলকে।
পরিবেশ সংগঠন বেলার কলাপাড়া উপজেলার নেটওয়ার্ক মেম্বর, মেজবাহ মান্নু বলেন, গাছ আমাদের ছায়া। বারবার গাছের ওপর আঘাত আসাটা হুমকি স্বরুপ। যেভাবেই হোক গাছগুলো রক্ষা করা দরকার। আমাদের দাবি যে গাছগুলো উপড়ে পড়েছে সেগুলো যাতে অপসারণ না করা হয়। নতুন ভাবে গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করার এখনি সময় এসেছে।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা অপূরণীয়। যে গাছগুলো পড়ে গেছে তা আমরা ওইখান থেকে সরাব না। তাতে সয়েল ইরোসন কম হবে। ন্যাচারালি রিকভারি হবে। রিকভারি প্ল্যান হিসেবে আমরা প্রতিবছরের মত ঝাউ গাছ লাগাব এ বছরেই।